আমাদের দেশে এখন আলোচিত বিষয় হচ্ছে যুদ্ধঅপরাধীর বিচার।যুদ্ধঅপরাধী যারা তাদের বিচার এই দেশর মাটিতে করা অবশ্যক।এখানে দল-মতের উর্ধ্বে উঠে বিচার করা উচিত বলে আমি মনে করি।কিন্তু আর্ন্তজাতিক যুদ্ধ অপরাধী আদালত গঠন করা হয়েছে এক বছরের উপর হয়েছে।সরকার দু'টি দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে আটক করে বিচারের কাজ চালাছে।আমি যেমন জানি তেমনি এই দেশের সকল মানুষ জানে যুদ্ধঅপরাধী সকল দলেই আছে।তাই কোন দলই চায়নি যুদ্ধাঅপরাধী বিচার হক।কিন্তু বর্তমান সরকার যুদ্ধাঅপরাধীদের বিচার শুরু করেছে।নিশ্চিত এটা একটা ভাল উদ্যোগ।কিন্তু তাই বলে নিজ দলের এবং শরীক দলের কাউকে আটক করে বিচারের আওতায় আনবে না এটা কোনো মতে গ্রহন যোগ্য না।আমার মনে হয় এই সরকারও যুদ্ধাঅপরাধী বিচার করতে চায় না।তারা বিরোধী দলের নেতাদের আটক করে প্রহসণ চালাচ্ছে।যদি তারা সত্যিকার অর্থে যুদ্ধাঅপরাধীদের বিচার শুরু করত তাহলে তারা সকল দলের যুদ্ধাঅপরাধীদের বিচারের আওতায় আনত।কিন্তু সরকার তা করেনি।যদি সরকার বিরোধীদলের নেতাদের দিয়ে বিচার কাজ চালান তাহলে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তা গ্রহণ যোগ্যতা পাবেনা।এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট ও যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা কিছু আইনের ধারা সংশোধনের জন্য বারবার বলে আসছে।ইতিমধ্যে জামায়েতী ইসলাম যুদ্ধাঅপরাধীর বিচারের বিরুদ্ধে বেশ কিছুটা সফলও হয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ এর জন্য আমাদের দেশের জনশক্তি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।আমার মনে হয় যদি বি.এন.পি. নেতৃতাধীন জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে তারাও এই রকম বিচারের নামে প্রহসণ করবে।তারাও বিরোধীদলীয় নেতাদের এই ভাবে আটক করে বিচার করবে আর বলবে আমরা প্রকৃত যুদ্ধাঅপরাধীদের বিচার করছি।আসলে কেউ প্রকৃত যুদ্ধাঅপরাধীদের বিচার করবে বলে আমার মনে হয়না।