আজ কয়েক দিন ধরে দেখছি দেশের
অসস্থিতিশীল অবস্থা।আমি কোন রাজনৈতি করিনা। আমার খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি শাহবাগের
আন্দোলনকারীদের সরকার পুলিশ দিয়ে পাহাড়া দিচ্ছে,আর জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরকে
রাজপথে পুলিশ দিয়ে গুলি করে মারছে!তাদেরও তো মত প্রকাশের অধীকার আছে।তাদেরকে কেন
সরকার রাজপথে দাড়াতে দিচ্ছে না?সরকার কি তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে?যদি না দিয়ে
থাকে তাহলে কেন সরকার তাদের কে সভা-সমাবেশ,মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছে না?এই যে
জামায়াতে ইসলামী ও শিবির রাজপথে গাড়ী ভাংচুর ও পুলিশকে মারছে তা কিন্তু হত না,যদি
সরকার তাদেরকে রাজপথে বাধা না দিত।এর প্রমাণ আমরা ০৪/০২/২০১৩ইং তারিখে দেখেছি।তারা
মতিঝিলে যে সমাবেশ করেছে এই দিন তারা কিন্তু কোন ভাংচুর করেনি।বরং তারা পুলিশকে
ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
আমাদের দেশের সরকার প্রধান ও
তার দলের নীতি নির্ধারকেরা যে ভাবে কথা বলছে তাতে মনে হচ্ছে শাহবাগের যে ঘটনা তা সরকারই সৃষ্ট করেছে।সরকারের mgv_©‡b শাহবাগীরা ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের কোন অপরাধ নেই।অপর
দিকে জামায়াতে ইসলামী বা শিবির ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদেরকে হুমকি
দেওয়া হয় যে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।আমার প্রশ্ন হল শাহবাগে যারা আন্দলন করছে
ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে তারা কি অপরাধী না?তারা কি আইনের উর্ধ্বে?তাদেরকে কেন
আইনের আওতায় আনা হয় না?আমার মনে হয় সরকার যুদ্ধ অপরাধীর বিষয়টা নিয়ে বিপাকে পরে
গেছে।তারা চেয়েছিল এই বিষয়টা নিয়ে জামায়তে ইসলামীর সাথে একটা আপসরফা করতে।কিন্তু
তারা এইটা করতে পারেনি একমাত্র বি.ত্রন.পির কারণে।বিএনপি এই বিচারের বিরুদ্ধে
প্রথম থেকেই শৌচ্ছার ছিল।যার কারণে জামায়াতে ইসলামী জোট থেকে বের হয়নি।আর
আওয়ামীলীগ ও ১৪দলীয় জোটের তথা বামপন্থীদের কারণে এই বিচার থেকে পিছু পা হটতে
পারেনি।এখন আওয়ামীলীগ এই যুদ্ধ অপরাধী বিচারের জন্য অনেকটাই বেকাদায় পড়ে গেছে।তারা
না পারছে সঠিক বিচার করতে আর না পারছে বিচার থেকে পিছুপা হটতে!এখন আওয়ামীলীগের
ঘারের উপর পাড়া দিয়ে ১৪দলীয় জোট তথা বামপন্থীরা চাইছে যে কোনো মূল্যে এই বিচার করে
জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করা।তারা এখন আরো চাইছে জামায়াতে ইসলামী ও তার
সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করা।কিন্তু আওয়ামীলীগের কিছু বর্ষীয়ান
নেতা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কারণে তা বামপন্থীরা পারছেনা।আমি আশা করব সরকার এই
কাজটি করবেনা।যদি করে সরকার তাহলে দেশে একটি ভয়ংকর অসস্থিতিশীল অবস্থা সুষ্টি
হবে।আর এর মাশুল আমাদের মত সাধারণ মানুষকেও দিতে হবে।
আমি আশা করব সরকার দেশের সার্থে তাদের সাথে
আলোচনা করে একটি সমাধানে আসবে।এই লেখাটি দেখে অনেকে ভাববেন হয়ত আমি শিবির বা
জামায়াতে ইসলামী করি।আসলে আমি কোনো দল করি না।