মস্তিষ্ক ও শরীরের ওপর প্রেমের ৫টি বিচিত্র প্রভাব!



ভালোবাসার কোনো বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা কি আছে? হয়তো নেই। কিন্তু ভালোবাসা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার শেষ নেই। ভালোবাসা মানুষের জীবনকে কী কী উপায়ে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে চলছে অনেক গবেষণা। আর মানুষের মস্তিষ্কের ওপরে, তথা শরীরের ওপরে যে প্রেমের বিশাল প্রভাব আছে সেটা বলাই বাহুল্য। ঠিক কীভাবে মানুষের শরীর ও মস্তিষ্কের ওপরে প্রভাব রাখে ভালোবাসা? প্রেমের প্রভাব মানুষের মস্তিষ্কে তথা শরীরে কী বিচিত্র সব প্রভাব ফেলে তা জেনে অবাক হবেন নিজেই!

১) হরমোনে ভেসে যায় মস্তিষ্ক

মস্তিষ্ক নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা ভালবাসাকে তিন পর্যায়ে ভাগ করেন। কামনা, ভালোলাগা এবং আনুগত্য। কামনার পর্যায়টা সর্বপ্রথম, এবং এতে শরীরের ভেতরে রীতিমত হরমোনের বন্যা বয়ে যায়। অ্যাড্রেনালিন এবং নরপিনেফ্রিন এর প্রভাবে হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যায়, হাতের তালু ঘামতে থাকে। এর পাশাপাশি ডোপামিন তৈরি করে উচ্ছাসের অনুভূতি। অনেকটা ড্রাগ নেবার মতোই অনুভূতি হয় তখন।

২) পেইনকিলারের মতো কাজ করে

এই ঘটনাটা অবশ্য প্রেমে পড়ার আগেও ঘটতে পারে। আকর্ষণীয় একটি মুখ দেখলে এমনিতেই ব্যথা কমে যায়। মস্তিষ্কের যে অংশে মরফিনের মতো পেইনকিলারগুলো কাজ করে, ঠিক সেই অংশেই এই অনুভূতিটিও কার্যকর হয়, ফলে শরীরের ব্যথা কমে যায়। আর ভালোবাসার মানুষটির প্রতি যেহেতু আকর্ষণ বেশি থাকে, তাই তার প্রভাবেই শরীরের ব্যথা কমে যায় অনেকখানি।

৩) মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল অনেক বেশি হয়

মস্তিষ্কের “প্লেজার সেন্টার” বা সুখ-কেন্দ্রের মাঝে প্রচুর পরিমাণে রক্ত সরবরাহ হয় প্রেমে পড়লে। আর এই ঘটনাটি সাধারণত ঘটে প্রেমের দ্বিতীয় পর্যায় “ভালোলাগা” তে, যখন দুইজন একে অপরের সাথে সম্পর্ক দীর্ঘ করার কথা ভাবতে শুরু করেন।

৪) মস্তিষ্কে “ও সি ডি” লক্ষণ তৈরি করে

“ও সি ডি” বা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার হলো এমন একটি অবস্থা যখন মানুষ কোনো কিছু করার প্রতি একগুঁয়ে হয়ে পড়েন। প্রেমে পড়লেও এমনটা হয়, যে কারণে প্রেমাসক্ত মানুষটি তার সঙ্গীর মাঝে কোনো খুঁত দেখতে পান না, সব দোষ ক্ষমা করে দেন। প্রেমের প্রথম পর্যায়ে এমনটা হয়, যখন সঙ্গীর সব কাজই ভাল লাগতে শুরু করে।

৫) হরমোন তৈরি করে দীর্ঘমেয়াদি অনুরাগ

বেশ কিছুদিন ধরে কাউকে ভালোবাসার পর মানুষের মাঝে তৈরি হয় আনুগত্য এবং নির্ভরশীলতার অনুভূতি। তখন মস্তিষ্ক আগের মতো উচ্ছ্বাস অনুভব করে না বটে, কিন্তু মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন আর ভ্যাসোপ্রেসিন নামের দুই হরমোন নিঃসৃত হবার ফলে মস্তিষ্কে তৈরি হয় নিরাপত্তা এবং স্থিতির অনুভূতি। ফলে মানুষ ওই সঙ্গীর সাথেই জীবনে স্থায়ী হতে চায়।
Share this article :
 
Helped By : WWW.KASPERWINDOW.TK | KasperWindowTemplate | Download This Template
Copyright © 2011. আমার কথা ঘর - All Rights Reserved
Template Created by Aehtasham Aumee Published by KasperWindow
Proudly powered by Blogger