
গ্রীষ্মের দাবদাহে আমাদের অবস্থা যেমন চরমে ওঠে তেমনি রোদের তীব্রতায় আমাদের ত্বকেরও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বককে শুধু কালোই করে না, তা রীতিমতো স্কীন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের কারণও হতে পারে। আসুন দেখি এই রোদে পোড়া থেকে কিভাবে সুরক্ষা থাকা যায়।
প্রতিরোধঃ
চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি কথা বলা আছে, সেটি হলো, প্রতিরোধ সবসময় প্রতিকার এর চেয়ে উত্তম। তাই আসুন আমরা শুরুতে জেনে নেই কিভাবে রোদে পোড়া থেকে বেঁচে থাকা যায়। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে, আমাদের দেশে রোদের তীব্রতা সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত তীব্র থাকে। বিশেষ করে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। শীতকালে কম, তাই এই সময়টুকুর মধ্যে যথাসম্ভব রোদে কম বের হতে হবে।
* সব সময় সাথে ছাতা রাখার চেষ্টা করুন এবং রোদে ব্যবহার করুন।
*সানগ্লাস খুব আরামদায়ক এবং সেটি শুধু ফ্যাশানের জন্য না। তবে, সানগ্লাস ব্যবহারের সময় একটু ভালো দেখে ব্যবহার করা উচিৎ যেন চোখের দৃষ্টিশক্তিতে কোন সমস্যা সৃষ্টি না করে।
*ত্বক যতটা পারেন আবৃত করে রাখুন, যেন সূর্যের রশ্মি সরাসরি না পরে।
*একান্তই যদি ত্বক আবৃত করতে না পারেন তবে সে ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে একটু দেখে শুনে ভালো ব্র্যান্ডের এবং আমাদের দেশের আবহাওয়ার জন্য উপযোগী সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
*সানস্ক্রিনের পরিবর্তে তরমুজের খোসা, বাঙ্গির খোসা, বা মিষ্টি কুমড়ার খোসার রস ত্বকের উপর লাগাতে পারেন।
প্রতিকারঃ
যাদের ইতিমধ্যে রোদে পুড়ে ত্বক কালো হয়ে গেছে তারা প্রকৃতিকভাবে নিচের পদ্ধতিগুলো অ্যাপ্লাই করতে পারেন। *লেবুর রস, গোলাপজল এবং শশার জুস একসাথে মিশিয়ে মুখে বা পোড়া জায়গায় লাগান। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড পোড়া দূর করবে এবং গোলাপজল ও শশা ত্বক ঠাণ্ডা করার কাজ করবে।
* মধু এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণটি পোড়া জায়গায় লাগান উপকার পাবেন। এই মিশনটি আপনার প্রতিরোধ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
*কাঁচা দুধ, হলুদ এবং লেবুর রস মিশিয়ে পেস্টের মতো করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
*যব বা গমের আটার সাথে বাটার মিল্ক মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে পোড়া স্থানে লাগান। যব বা গমের আটা মড়া বা শুষ্ক চামড়া পরিষ্কারের কাজ করবে আর বাটার মিল্ক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
* আটা, লেবুর রস ও দই মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন, উপকার পারেন।
*শুধুমাত্র ফ্রেশ লেবুর রস কুনই, হাঁটু এবং রোদে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখতে পারেন।
*নিয়মিতভাবে মুখে এবং হাতে নারিকেল বা ডাবের পানি দিতে পারেন।
*এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী খুব ভালো রোদে পোড়া থেকে ত্বকে রক্ষা করে।
*কাঁচা পেঁপে স্ম্যাশ করে পোড়া জায়গায় মাখা যেতে পারে।
*টমেটো রস খুব ভালো রোদে পোড়ার বিপক্ষে কাজ করে।