
আয় বেড়ে যায় বিয়ে মানেই আরেকটি মানুষের খরচের দায়ভার নেয়া। তাছাড়া নতুন বাসা ভাড়া নেয়া, বাজার খরচ, বেড়াতে যাওয়ার খরচ, রিকশা ভাড়া, স্ত্রীর হাত খরচ, জামা কাপড় কেনা সব কিছুর পেছনে বেশ অনেকটা অতিরিক্ত খরচ করতে হয়। আর তাই ব্যাচেলরদেরকে আয় বাড়াতে হয়। আয় বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম করা হয় চাকরী ক্ষেত্রে। ফলে ক্যারিয়ারে উন্নতি হয় এবং সাফল্য আসে। হুট করে ঝোঁকের বশে চাকরী ছেড়ে দেয়ার প্রবণতাও কমে যায় বিয়ের পরে।
ঘর পরিষ্কার থাকে
ব্যাচেলরদের রুম বলতেই এলো মেলো একটি কক্ষ চোখে ভাসে। এখানে ওখানে কাপড় ছড়ানো, সিগারেটের ছাই পড়ে থাকা, কিংবা এলো মেলো বইয়ের টেবিল বেশিরভাগ ব্যাচেলরদের রুমের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু বিবাহিত জীবনে এই অবস্থার পরিবর্তন আসে। বিয়ে করলে স্ত্রী অগোছালো রুমটাকেই সাজিয়ে গুছিয়ে ফেলে। ফলে আপনার চেনা অগোছালো রুমটাও হয়ে উঠবে অচেনা সুন্দর একটি গুছানো রুম।
খাবারের মান উন্নত হয় ব্যাচেলর জীবনে খাওয়া দাওয়ার সময় কিংবা মেন্যুর কোনো ঠিক থাকে না। যারা পরিবারের সাথে থাকেন তারা তাও মায়ের হাতের খাবার খেতে পারেন। কিন্তু যারা মেসে থাকেন তাদের খাবারের মান ও স্বাদ অনেক সময়েই মন মত হয় না। তাই তারা বাইরের হোটেলে খেয়ে খেয়ে অতিষ্ট হয়ে যান। অনেক সময় বিস্কিট, রুটি, কলা ইত্যাদি খেয়েই দিন পার করে দেন। ব্যাচেলরদের জন্য বিয়ে করার ইতিবাচক দিক হলো বিয়ের পর খাবারের মান নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করতে হয় না। প্রতিদিন খাবারের একটা নির্দিষ্ট সময়সূচি তৈরী হয় এবং স্ত্রীর হাতের রান্না খাওয়া যায়। ফলে খাবার নিয়ে দূর্ভোগের অবসান ঘটে।
অতিরিক্ত ঘুমানোর অভ্যাস ও অলসতা কমে
অনেক ব্যাচেলরই সারা রাত জেগে সারা দিন ঘুমান। দুপুর ১২টার আগে হয়তো ঘুম থেকেই ওঠেন না অনেকে। আর এই ঘুমের জন্য কেউ কেউ ক্লাস কিংবা অফিস ও ফাঁকি দেন। এ ধরণের এলোমেলো অভ্যাস যাদের তারা বিয়ের পরে একটু ঝামেলাতেই পড়েন বটে। কারণ বিয়ের পর আপনি চাইলেও আপনার স্ত্রী আপনাকে রাতে জেগে দিনে ঘুমাতে দিবে না। বিয়ের পর আপনার অলসতা ও অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস অনেকটাই কমে যাবে।
ফ্লার্টিং করা কমে ও সম্পর্কে আসে বিশ্বস্ততার স্বাদ
ব্যাচেলর জীবনে অনেক পুরুষই রাতের পর রাত বিভিন্ন মেয়েদের সাথে ফোনে ফ্লার্টিং করে। বিভিন্ন মেয়েদের ফোন নম্বর যোগাড় করে রাতের পর রাত প্রেমালাপ করে কাটিয়ে দেন। কিংবা দিনের বেলাতেও ডেটিং এ যান এক এক সময়ে এক এক জনের সাথে। যাদের এধরণের ফ্লার্টিং এর অভ্যাস আছে তারা বিয়ের পড়ে বেশ বিপদে পড়েন। কারণ সঙ্গে স্ত্রী থাকার কারণে এ ধরণের অভ্যাস বজায় রাখা সম্ভব হয়না। তাছাড়া সম্পর্কের প্রতি বিশ্বস্ততা বজায় রাখার জন্যও বেশিরভাগ পুরুষ এধরণের অভ্যাস ত্যাগ করেন। ফলে একটি বিশ্বস্ত, সুখী ও সুন্দর সম্পর্কের স্বাদ পাওয়া যায়।
একাকীত্ব দূর হওয়া
ব্যাচেলর জীবনটা পুরোটাই কেটে যায় হাসি, গান, আড্ডা ও খেলাধুলায়। রাতের পর রাত গিটারে গান, তাস খেলা, কম্পিউটার গেম খেলা কিংবা কোনো বিষয় ছাড়াই আড্ডা দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু বন্ধু-বান্ধব তো সব সময়ে থাকেনা। ছাত্র জীবন শেষ হওয়ার পর জীবনের একটি ধাপে এসে বেশিরভাগ পুরুষই খুব একাকীত্ব অনুভব করেন। বিয়ে করলে এই একাকীত্বের অনুভূতি থাকে না এবং স্ত্রীর সঙ্গে বেশ আনন্দেই সময়গুলো কেটে যায়।