রোজ হাশরের ময়দানে বিচারের পরে যাদেরকে বেহেশতে দেয়া হবে তারা চিরতরে বেহেশতে বসবাস করতে থাকবেন। পক্ষান্তরে যেসব বদ-নসীব লোকদের জাহান্নামে দেয়া হবে তাদেরকেও চিরকাল জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে। তাদের আর কোনোদিন মৃত্যু হবে না।
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন পাকে এরশাদ করা হয়েছে- ‘আর যারা কাফের তাদের জন্য দোযখের আগুন রয়েছে। তাদের মৃত্যু আসবে না যে মরে যাবে এবং তাদের ওপর থেকে দোযখের শাস্তিও সহজ করা হবে না। আর আমি প্রত্যেক কাফেরকে এভাবেই শাস্তি প্রদান করে থাকি’। (সূরা ফাতির-৩৬)
গুনাহগার মুসলমানদের পাপ অনুযায়ী শাস্তি শেষ হলে তাদের বেহেশতে দাখিল করা হবে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত আছে, ‘নবীজী ইরশাদ করেন, বান্দাদেরকে আপন কৃতকর্মের ফলস্বরূপ যখন বেহেশত বা দোযখে দাখিল করান হবে তখন মৃত্যুকে তাদের সামনে এনে জবেহ করে ফেলা হবে’। অতপর এলান করে দেয়া হবে যে, ‘হে দোযখ এবং বেহেশতের অধিবাসীরা! তোমরা জেনে রাখ, আর কোনোদিন তোমাদের মৃত্যু হবে না। কারণ তোমাদের সামনেই মৃত্যুকে জবেহ করে দেয়া হলো’। অতএব যে যে অবস্থায় আছ, এ অবস্থাতে চিরদিন থাকতে হবে।
এ বাণী শোনার পর বেহেশতবাসীরা অত্যন্ত আনন্দিত হবেন, কিন্তু দোযখীদের আক্ষেপ আরও শতগুণে বৃদ্ধি পাবে।
নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেন, বান্দাদের সম্পর্কে আখেরী ফয়সালা হয়ে যাওয়ার পর মৃত্যুকে সাদার মধ্যে কালো দাগ বিশিষ্ট রঙের ভেড়ার আকৃতিতে উপস্থিত করা হবে এবং বেহেশত ও দোযখের মধ্যবর্তী স্থানে রেখে বেহেশত ও দোযখবাসীদের ডেকে বলা হবে, তোমরা দেখে রাখ, তোমাদের সামনে মুত্যুকে জবেহ করে দেয়া হয়েছে। তোমরা যে যে অবস্থায় আছ সে অবস্থাতেই চিরদিন থাকবে আর তোমাদের মৃত্যু হবে না, জীবনের আর কোনো পরিবর্তন হবে না কোনোদিন।
এ সংবাদে বেহেশতিরা এতো আনন্দিত হবে যে, যদি মৃত্যুকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়া না হতো তবে খুশিতে তারা মৃত্যুবরণ করতো। দোযখীরাও এতো দুঃখিত ও ভীত হবে যে, তারা দুঃখের আঘাত সহ্য করতে না পেরে মরে যেত।