বন্ধুরা কি ঈর্ষা করছে আপনাকে? নিতে পারেন এই পদক্ষেপ গুলো!



খুব ভালো চাকরি হয়েছে আপনার। বন্ধু মহলে সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরিটাই পেয়েছেন আপনি। মাস শেষে অনেক গুলো টাকা, গাড়ি আরো অনেক সুবিধাই দেবে অফিস। আপনার পরিবারও খুব খুশি আপনার এই চাকরিতে। কিন্তু সব সমস্যা শুরু হলো আপনার বন্ধুদের নিয়ে। সবচাইতে কাছের বন্ধুটিও কেমন যেন দূরে সরে গিয়েছে আপনার কাছ থেকে। ফোন করে কুশলাদি জিজ্ঞেস করলেও সে খোঁচা মেরে বলছে ‘তুই তো এখন বড়লোক, আমাদের খোজ নিবি কেন?’

এসব কথা শুনলে কার না মন খারাপ হয় বলুন? মাঝে মাঝে মনে হয় কাছের বন্ধুরা অভিনন্দন দেয়ার বদলে আপনাকে হিংসা করবে জানলে এই চাকরিটাই করতেন না!

বন্ধুদের মাঝে এমন পরিস্থিতি অহরহই সৃষ্টি হয়। বন্ধুর ভালো চাকরি, ভালো যায়গায় বিয়ে, সুন্দরী স্ত্রী/প্রেমিক কিংবা প্রমোশন সহ্য করতে পারেন না অনেকেই। মনের অজান্তেই ঈর্ষা করে বসে অনেকেই প্রিয় বন্ধুটিকে। বন্ধুর মন থেকে ঈর্ষা দূর করার ক্ষেত্রে আপনাকেই সচেষ্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে বন্ধুকে ভুল না বুঝে কিছুটা কৌশলী হতে হবে আপনাকে।

আসুন জেনে নেয়া যাক বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে ঈর্ষা দূর করার ৫টি ধাপ।

১) প্রথমে নিজেকে আপনার বন্ধুর জায়গায় রেখে কল্পনা করুন যে আপনি হলে কী করতেন এমন পরিস্থিতিতে। বন্ধুর সাফল্যে কিছুটা কি মন খারাপ হতো আপনার? এটাও ভাবুন যে বিষয়টি কি নিজের ব্যর্থতার কারণে হতাশা, নাকি বন্ধুর সাফল্য সহ্য করতে না পারার মত মানসিক সমস্যা।

২) পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। বন্ধুকে ভুল না বুঝে নিজের মনকে বোঝান যে এটা আপনার বন্ধুর সাময়িক মানসিক অবস্থা। এই পরিস্থিতি একটু চেষ্টা করলেই বদলে ফেলা যাবে। এই পরিস্থিতিতে অধৈর্য হলে শুধু শুধু বন্ধুত্বের সম্পর্কটা নষ্ট হবে।

৩) বন্ধুর সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিন। নিয়মিত ফোন করুন তাকে। সুযোগ পেলেই দেখা করে আড্ডা দিন আগের দিনগুলোর মত। প্রথম প্রথম সে আপনাকে এড়ানোর চেষ্টা করলেও ধৈর্য্য হারাবেন না। ধীরে ধীরে আপনার বন্ধু আপনার সাফল্য মেনে নিবে এবং মন থেকে ঈর্ষা দূর হয়ে যাবে।

৪) বন্ধুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সে যা করছে, তার জীবনের বিভিন্ন ধাপের প্রশংসা করুন। তাকে উৎসাহ দিন সব কিছুতে। তাহলে আপনার বন্ধু তার হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে এবং নিজের ব্যর্থতার হতাশা থেকে বের হয়ে আসবে। ফলে মন থেকে ঈর্ষাও দূর হয়ে যাবে।

৫) বন্ধুকে আপনার আচরণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিন যে তার বন্ধুত্ব আপনার জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। তাকে বুঝিয়ে দিন যে আপনার সফলতা আপনার জীবনের একটি দিক এবং বন্ধুত্ব আরেকটি দিক। দুটি বিষয়ই সমান গুরুত্বপূর্ন আপনার কাছে। আপনি আপনার বন্ধুকে কতখানি ভালোবাসেন সেটা বুঝিয়ে বলুন তাকে। তার প্রতি আপনার অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখে আপনার বন্ধুটির মন থেকে হিংসা দূর হয়ে যাবে।
Share this article :
 
Helped By : WWW.KASPERWINDOW.TK | KasperWindowTemplate | Download This Template
Copyright © 2011. আমার কথা ঘর - All Rights Reserved
Template Created by Aehtasham Aumee Published by KasperWindow
Proudly powered by Blogger