যে কারনে স্বামীর কাছে স্ত্রীর শারীরিক সৌন্দর্যই মুখ্য


পারিবারিক জীবনে সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের রয়েছে আলাদা আলাদা চাওয়া-পাওয়া। পুরুষেরা বিয়ের ক্ষেত্রে সুন্দরী নারীদের বেছে নিলেও নারীদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে। বিশেষ করে বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বামীরা স্ত্রীর সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দিলেও স্ত্রীর কাছে এর প্রভাব খুবই কম। সাউদার্ত মেথোডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেডম্যান হিউম্যানিটিস অ্যান্ড সায়েন্সেস কলেজের মনোবিজ্ঞানী আন্দ্রিয়া মেল্টজার ৪৫০টির বেশি নববিবাহিত দম্পতির ওপর চার বছর ধরে গবেষণা করে যে প্রতিবেদন তৈরি করেছেন তাতে এমন তথ্য উঠে এসেছে। পুরো কাজটির জন্য চারটি ভিন্ন দম্পতি দলের ওপর পৃথক পৃথক গবেষণা চালানো হয়েছে। বুধবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইলে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষের কাছে সুখী বিবাহিত জীবনের চাবিকাঠি স্ত্রীর শারীরিক সৌন্দর্য। তার ব্যক্তিত্ব বা আচরণ নয়। তবে স্ত্রীদের জন্য একই সূত্র প্রযোজ্য নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এক গবেষক জানিয়েছেন, যেসব পুরুষের স্ত্রীরা আকর্ষণীয় তাদের বিবাহিত জীবন অপেক্ষাকৃত সুখী ও টেকসই।

এ গবেষণার আগে একটি বিশেষ গবেষক দল দম্পতির প্রত্যেকের আকর্ষণ ক্ষমতার মাত্রা নির্ধারণ করেন। এরপর প্রতিবছর অন্তত আটটি সময়ে স্বামী-স্ত্রীকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা কতোটুকু সুখী, তাও এ সময়ে তাদের জিজ্ঞাসা করে মাত্রা নির্ধারণ করতে বলা হয়। প্রতি দম্পতির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বিয়ের প্রথম বছরে স্ত্রীর চেয়ে স্বামীরা বেশি সুখী।
তবে ধীরে ধীরে কেবল আকর্ষণীয় স্ত্রীদের স্বামীরাই বেশি সুখী থেকেছেন। এমন স্ত্রীরাও বিয়েতে সুখী বলে জানিয়েছেন। গবেষকেরা বলছেন, যখন স্বামী সুখী হয় তখন বিবাহিত জীবনও সুখী বলে প্রতিভাত হয়েছে।  

স্বামীর কাছে স্ত্রীর শারীরিক সৌন্দর্যই মুখ্য

 গবেষক মেল্টজার বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপর দম্পতিদের শারীরিক সৌন্দর্যের যে বড় প্রভাব রয়েছে তা গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘স্বামীদের সুখের ওপর স্ত্রীদের সৌন্দর্যের প্রভাব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। তবে স্ত্রীদের সুখের ওপর স্বামীদের সৌন্দর্যের প্রভাব একেবারেই নেই।’

 ২০০৮ সালে বেনজামিন কার্নে নামের আরেক গবেষক একই ধরনের গবেষণা করে একই ফল পেয়েছিলেন। কার্নে বলেন, ‘সুন্দর স্ত্রী পেয়ে স্বামীরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন। এ ধরনের স্ত্রীদের সঙ্গে তারা ভালো ব্যবহার করেন এবং তাদের ছেড়ে যেতে চান না। এমনকি সম্পর্ক কোনো ঝামেলায় পড়ুক তাও তারা চান না।
এভাবে স্ত্রীতে সুখী হয়ে, বিবাহিত জীবনেও সুখী হওয়া যায়।’ পুরুষেরা হালকা চিন্তা করে বলেই গবেষণায় এমন ফল পাওয়া গেছে তা নাও হতে পারে। বরং পুরুষেরা সহজেই স্ত্রীদের সৌন্দর্যের প্রশংসা করে বলে এ ধরনের ফল এসেছে।
Share this article :
 
Helped By : WWW.KASPERWINDOW.TK | KasperWindowTemplate | Download This Template
Copyright © 2011. আমার কথা ঘর - All Rights Reserved
Template Created by Aehtasham Aumee Published by KasperWindow
Proudly powered by Blogger