অনেকেই মনে করেন চুলের আকৃতি ও অন্যান্য
গুণাগুণ জন্ম থেকে মানুষের একই থাকে। কিন্তু বাস্তবে আমাদের নানা
কার্যক্রমের ফলে চুলের পরিবর্তন হয়। বহু মানুষের জীবনের শুরুতে এক ধরনের
চুল থাকলেও পরে তা পরিবর্তিত হয়ে যায়। এর সাতটি কারণ তুলে ধরা হলো এ লেখায়।
১. হরমোন
হরমোনের কারণে চুলের বড় পরিবর্তন হতে
পারে। অনেক সময় থাইরয়েড হরমোন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনার
দেহে যদি থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হয়, তাহলে চুল দ্রুত পড়ে যেতে পারে। আরও
কিছু হরমোন আছে, যা চুলের পরিবর্তন ঘটায়। মেয়েদের মাতৃত্বকালীন হরমোন তাদের
চুলকে ঘন ও উজ্জ্বল করে তোলে। এ ছাড়া চুলের আকার পরিবর্তনেও হরমোন ভূমিকা
রাখে।
২. ওষুধ
কিছু ওষুধ আপনার চুলের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এর অন্যতম কারণ ওষুধের ফলে হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন হয়। আর এ হরমোনের পরিবর্তনের ফলে হয় চুলের পরিবর্তন। থাইরয়েডের চিকিৎসা কিংবা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি অনেক সময় চুলকে ভঙ্গুর করে তোলে। অনেক সময় ওষুধের কারণে চুল পড়ে যায়।
সাতটি কারণে চুলের যত পরিবর্তন
কিছু ওষুধ আপনার চুলের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এর অন্যতম কারণ ওষুধের ফলে হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন হয়। আর এ হরমোনের পরিবর্তনের ফলে হয় চুলের পরিবর্তন। থাইরয়েডের চিকিৎসা কিংবা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি অনেক সময় চুলকে ভঙ্গুর করে তোলে। অনেক সময় ওষুধের কারণে চুল পড়ে যায়।
সাতটি কারণে চুলের যত পরিবর্তন
৩. খাবার
আপনার চুলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে আপনার
খাদ্য। চুলের প্রয়োজন কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টি। পর্যাপ্ত পুষ্টি চুলের
স্বাস্থ্য রক্ষা করে ও মজবুত রাখে। আর পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবারের অভাব হলে
চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দ্রুত ঝড়ে পড়ে। ফলে ক্রমে পাতলা হয়ে যেতে পারে চুল।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আয়রনের অভাব হলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। এ কারণে
আপনার আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এ ছাড়াও আপনার ভিটামিন এ, বায়োটিন,
জিংক, প্রোটিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
৪. চিকিৎসা
চিকিৎসাকার্যে ব্যবহৃত নানা কার্যক্রমের
কারণে চুলের পরিবর্তন হতে পারে। কেমোথেরাপি এর মধ্যে একটি বড় উদাহরণ। এমনকি
কেমোথেরাপির পর চুল গজালেও তা আকৃতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। যেমন কোকড়া চুল
হয়ে যেতে পারে সোজা। কিংবা কারো ঘন চুল হয়ে যেতে পারে পাতলা।
৫. বয়সের ছাপ
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুল পাকা শুরু করলে তা
চুলের নানা পরিবর্তনও নিয়ে আসে। পাকা চুল সাধারণত পুরু ও মোটা হয়। আর চুল
পাকা শুরু হলে তা থেকে অনেকখানি পরিবর্তন দেখা যায়।
৬. অতিরিক্ত রূপচর্চা
আপনি যদি নিয়মিত চুল রং করেন,
হেয়ারড্রায়ার ও নানা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে চুলের ওপর নানা অত্যাচার করেন,
তাহলে তার যথেষ্ট ক্ষতি হয়। এতে আপনার চুল শুষ্ক ও স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে।
চুলে অতিরিক্ত স্টাইল করা হলে তা চুলের ক্ষতি করে। আপনার যদি চুলের
অতিরিক্ত রূপচর্চার অভ্যাস থাকে তাহলে তাতে কিছু দিন বিরতি দিন। চুলকে এ
অতিরিক্ত রূপচর্চার যন্ত্রণা থেকে কিছু দিন মুক্তি দিলেই আপনি পরিবর্তন
বুঝতে পারবেন।
৭. মানসিক চাপ
ব্যস্ত নাগরিক জীবনে আমরা প্রত্যেকেই
প্রতিনিয়ত মানসিক চাপের সম্মুখীন। আর এ চাপ যদি হয়ে যায় অতিরিক্ত তাহলে তা
আপনার চুলের ক্ষতি করতে পারে। এতে চুল হালকা ও পাতলা হয়ে যেতে পারে। তবে
এটি সাময়িক। মানসিক চাপ কমাতে পারলে চুল আবার আগের মতো হতে পারে।
