
সকালে সকাল মন মেজাজ খারাপ হলে দিনের বাকি
সময়টুকু কি রকম যেতে পারে তা নিশ্চয়ই কাওকে বলে বোঝাতে হবে না। সবাই এই
বিষয়ে কেই মতামত দেবেন, ‘দিনের শুরু ভালো না হলে কি পুরো দিন ভালো যায়’।
আসলেই তাই। দিনের শুরুটা বলে দেয় পুরো দিনটি কেমন কাটবে।
সকালের আবহাওয়া যেমন পুরো দিনের আবহাওয়া নির্ধারণ করতে পারে, তেমনই আমাদের মন মেজাজও সকালের শুরুতেই নির্ধারিত হয়ে যায়। একেবারে আশ্চর্যজনক কিছু না হলে তা পরিবর্তিত হয় না। কিন্তু কোনো কারণে যদি আসলেই সকালের শুরুটা ভালো না হয় তবে কি পুরো দিন মুখ গোমড়া করে বসে থাকা উচিৎ? তা নিশ্চয়ই নয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সকালের শুরুটা ভালো করার কিছু পদ্ধতি। জেনে নিন সকালের যে ছোট্ট কাজগুলো আপনাকে সারাদিন রাখবে ফুরফুরে মেজাজে।
সকালের আবহাওয়া যেমন পুরো দিনের আবহাওয়া নির্ধারণ করতে পারে, তেমনই আমাদের মন মেজাজও সকালের শুরুতেই নির্ধারিত হয়ে যায়। একেবারে আশ্চর্যজনক কিছু না হলে তা পরিবর্তিত হয় না। কিন্তু কোনো কারণে যদি আসলেই সকালের শুরুটা ভালো না হয় তবে কি পুরো দিন মুখ গোমড়া করে বসে থাকা উচিৎ? তা নিশ্চয়ই নয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সকালের শুরুটা ভালো করার কিছু পদ্ধতি। জেনে নিন সকালের যে ছোট্ট কাজগুলো আপনাকে সারাদিন রাখবে ফুরফুরে মেজাজে।
(১) সকালে মন মেজাজ খারাপ হওয়ার অন্যতম
প্রধান কারণ হচ্ছে দেরিতে ঘুম ভাঙা এবং কাজে যেতে দেরি হয়ে যাওয়া। তাই যদি
অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙার অভ্যাস করে থাকেন, তবে অ্যালার্ম নির্দিষ্ট
সময়ের অন্তত ১০-১৫ মিনিট আগে দিয়ে রাখুন। এবং অ্যালার্ম বাজার পর ‘আর ৫
মিনিট’ ধরণের আলসেমি করবেন না মোটেও।
(২) ভোরে উঠার অভ্যাস থাকলে মাত্র ১০-১৫
মিনিট বাসার ছাদে, কিংবা আশেপাশের মাঠে অথবা শান্ত কোনো পরিবেশে হেঁটে
আসুন। এতে যদি আপনার মন মেজাজ খারাপও থাকে তা ভালো হয়ে যাবে।
(৩) সকালে গোসল করার অভ্যাস তৈরি করুন। চট
করে সকাল সকাল বিশেষ করে গরমের দিনে গোসল সেরে নিলে পুরো দিন আপানার মাথা
থাকবে ঠাণ্ডা এবং মেজাজ থাকবে ফুরফুরে।
(৪) সকালে নিজেকে উদ্দেশ্য করে বলুন কোনো
প্রেরণার বাণী। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে, নিজের চোখের দিকে তাকিয়ে
বলুন ‘আমি সুন্দর এবং যেমন আছি পারফেক্ট আছি’ অথবা ‘আমি পারব এই কাজটি
করতে, আমাকে দিয়ে হবে’ কিংবা ‘আমি হবো একজন সফল মানুষ’। এতে আপনি নিজেকে
অনেক বেশি উৎফুল্ল পাবেন।
(৫) ৫ টি মিনিট সময় বের করে পছন্দের গানটি
শুনুন অথবা গানটির সাথে তাল মিলিয়ে কিছুটা হাত পা ছুড়ে নিন। কথাটি অনেক
ছেলেমানুষি শোনালেও এই কাজটি মন মেজাজ এক নিমেষে ভালো করতে সক্ষম।
(৬) ৫-১০ মিনিট যোগব্যায়াম করে নিন।
মানসিক চাপ, মন মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে যোগব্যায়ামের চাইতে ভালো কোনো
ঔষধ নেই। একটুখানি সময় আপনার পুরোদিনটি করতে পারে ভালো।
(৭) পরিবারের মানুষগুলোর সাথে ২ মিনিট কথা
বলুন। সকালে তো সবাই উঠেই পড়েন। তাই একটু হেসে পরিবারের মানুষগুলোর সাথে
দুটি কথা বলে দেখুন। মন ভালো লাগবে। সারাদিন অন্তত পরিবারের মানুষগুলোর কথা
মনে করেও আপনি থকবেন ফুরফুরে।
(৮) সবশেষে ছোট্ট এক টুকরো চকলেট মুখে
পুরে বাসা থেকে বের হোন কিংবা কাজে নেমে পড়ুন। চকলেট মস্তিষ্কে ভালোলাগার
হরমোন ‘সেরেটেনিন’ উৎপন্ন করে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই হরমোন মস্তিষ্কে উৎপন্ন
হবে ততোক্ষণই আপনি থাকবেন ফুরফুরে মেজাজে।