
পৃথিবীর যতো সৌন্দর্য এবং আমাদের আপনজনের
প্রিয় মুখ আমরা যে নয়ন ভরে দেখতে পাই সেই অমূল্য নয়নজোড়ার জন্য আমরা কি
করি? শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ভালো মতো খোঁজ খবর রাখলেও চোখের প্রতি
নজরটা একটু কমই দিয়ে থাকি আমরা। কিন্তু এতে তো আমাদেরই ক্ষতি। বরং চোখের
যত্নই বেশি করে নেয়া দরকার। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক চোখের যত্নে করণীয়
জরুরী ৭ টি কাজ।
পরিবারের ইতিহাস জানুন
চোখের কি ধরনের যত্ন নিতে হবে তা বুঝতে
হলে অবশ্যই পরিবারের ইতিহাস জেনে নেয়া উচিৎ। কারণ পারিবারিক ভাবে যে
সমস্যাগুলো তৈরি হয় তা সমাধানের জন্য ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
ডাক্তারকে আগে থেকে বলে রাখলে ভুল চিকিৎসা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
চশমা এবং কন্টাক লেন্সের নিয়মিত যত্ন নেয়া উচিৎ
অনেকেই চশমা এবং কন্টাক লেন্স ব্যবহার
করেন। কিন্তু নিয়মিত যত্ন নেন না যা একেবারেই উচিৎ নয়। চশমার গ্লাসে দাগ
পড়লে তা বদলে ফেলা জরুরী। কারণ এতে করে আপনার চোখের ক্ষতি হতে পারে। কন্টাক
লেন্সের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্কতার প্রয়োজন। পরিষ্কার হাতে লেন্স ধরা
উচিৎ এবং নিয়মিত স্যলুশন পরিবর্তন করা উচিৎ।
চিকিৎসা মাঝপথে থামিয়ে দেয়া উচিৎ নয়
অনেকেই আছেন যারা চোখের সমস্যায় ভুগে
ডাক্তারের কাছে যান এবং কোনো চিকিৎসা করতে দেয়া হলে এবং তা যদি সময় সাপেক্ষ
হয় তবে কিছুদিন পড়ে চিকিৎসা থামিয়ে দেন। এই কাজটি ভুলেও করতে যাবেন না।
চোখের জন্য এটি অনেক বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসা নিয়মিত এবং পরিপূর্ণ
ভাবে করা উচিৎ।
চোখকে ক্ষতিকর বস্তু থেকে বাঁচান
অনেকেই এমন কাজ করেন যা চোখের জন্য বেশ
ক্ষতিকর। যেমন যারা নানা ধরণের ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন তারা বিভিন্ন সময়
কেমিক্যালের সংস্পর্শে এসে পড়েন, আবার যারা প্রযুক্তি বেশি ব্যবহার করেন
তারাও প্রযুক্তিগত পণ্যের ক্ষতিকর রশ্মির সংস্পর্শে আসেন। এইসকল ক্ষতিকর
বস্তু থেকে চোখকে বাঁচান। কাজ করার সময় অবশ্যই চোখের জন্য প্রতিরক্ষামুলক
বস্তু পড়ে নেয়া উচিৎ। বাইরে বের হলে অবশ্যই চখে সানগ্লাস পড়বেন। এতে
সূর্যের রশ্মি ও ধুলোবালি থেকে রেহাই পাবেন।
ধূমপান ত্যাগ করুন
ধূমপানের কারণে চোখের নরম টিস্যু খুব
দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যায়। এতে করে চোখের নানা মারাত্মক রোগ হয়। মলিকিউলার
ডিগ্রেডেশন এবং চোখের ছানি পরার অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান।
চোখের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খান
চোখের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস
করা উচিৎ অনেক ছোট বয়স থেকেই। ছোট মাছ, হলুদ ফলমূল এবং যে সকল খাবারে
ভিটামিন এ এর পরিমান বেশি প্রতিদিনের খাবার তালিকায় তা অবশ্যই রাখা উচিৎ।
নিয়মিত চেকআপ করুন
চোখের কোনো সমস্যা না থাকলেও নিয়মিত চোখের
চেকআপ করা প্রয়োজন। এতে করে চোখের আসল অবস্থা সম্পর্কে ধারণা রাখা যায় এবং
কি করলে চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব তা সম্পর্কেও ধারণা রাখা
যায়।