মেলবোর্নের বিজ্ঞানীদের মতে, এমনভাবেই হাঁটুন, চলুন, ব্যায়াম করুন, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ে৷ সঙ্গে নিয়মিত ব্রিদিং এক্সারসাইজ করে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ান৷ কারণ গবেষণা বলছে, এই যন্ত্রটিই হল আসল কাজের কাজি৷ চর্বিকে শরীর থেকে বার করতে সে একাই একশো৷ শতকরা ৮০ ভাগ চর্বিকে ভেঙে জলে পরিণত করার, হাওয়ায় মিলিয়ে দেওয়ার দায়ভার সে বহন করে একাই৷
ফুসফুসের ম্যাজিক
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কার্বোহাইড্রেট খেলে তা রূপান্তরীত হয় ট্রাইগ্লিসারাইডে৷ ট্রাইগ্লিসারাইডে থাকে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পরমাণু৷ শরীরে জমা এই অতিরিক্ত চর্বিকে ভাঙতে গেলে এই সব পরমাণুর বন্ধনকে ভেঙে ফেলতে হয়৷ যে পদ্ধতিতে তা হয়, তার নাম অক্সিডেশন৷ অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রুবেন মিরম্যান ও অ্যান্ড্রূ ব্রাউন জানিয়েছেন এক একটি চর্বি কোষে বা ট্রাইগ্লিসারাইডে যে কার্বন পরমাণু রয়েছে তাকে শ্বাসের সঙ্গ গৃহীত অক্সিজেনের সাহায্যে জাড়িত করলে তৈরি হয় কার্ব-ডাই-অক্সাইড, শ্বাসের সঙ্গেই তা বেরিয়ে যায়৷ আবার চর্বি কোষের হাইড্রোজেনের সঙ্গে অক্সিজেন মিলিত হলে তৈরি হয় জল৷ কাজেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যত বেশি অক্সিজেন শরীরে ঢোকানো যায় তত লাভ৷ মোটামুটি ১০ কেজি চর্বির সঙ্গে ২৯ কেজি অক্সিজেন যুক্ত হলে ২৮ কেজি কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ১১ কেজি জল তৈরি হয়৷
কী করবেন
শরীরে চর্বি জমা ঠেকাতে ভাত-রুটি-চিড়ে-মুড়ি-পাস্তা-নুডুলস খাওয়া কমান৷ ময়দা-চিনি-মিষ্টি জাতীয় সিম্পল কার্বোহাইড্রেট ও তেল যথাসম্ভব কম৷ ঘি-মাখন ও ভাজাকে অস্পৃশ্য করে দিলেই ভালো৷
বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে গ্রেডেড এক্সারসাইজ করুন, যাতে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়তে শুরু করে৷ দিনে কম করে আধ ঘণ্টা জোরে হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং বা সাঁতার মাস্ট৷ এমন স্পিডে করুন যাতে শ্বাসকষ্ট না হয়, কিন্তু অল্প হাঁপিয়ে যান৷ প্রতি সপ্তাহের শেষে কিছুটা করে স্পিড নিজের নিয়মেই বাড়বে৷
ধূমপানে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে৷ কাজেই বিড়ি-সিগারেট ছাড়ুন৷
ফুসফুসের কোনও রোগ থাকলে চিকিত্সায় তাকে আয়ত্ত্বে রাখুন৷
নিয়মিত ডিপ ব্রিদিং করুন৷
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!