চুম্বন একপ্রকার শিল্পকর্ম। সৃষ্টিশীল পদ্ধতি চুম্বনে যোগ করতে পারে অনাবিল আনন্দ। আমরা সবাই ভাবি ‘আমি নিজেই সবছে ভাল চুমুবাজ’! কিন্তু সত্যিকার অর্থে এ ব্যপারে শিউর হবার কোন উপায় নেই। এমনকি আপনি যদি আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে আপনার চুমু খাবার স্টাইল সম্পর্কে সুনাম শুনেন তাহলেও সর্বদা তা আরো কার্যকর করার উপায় খোঁজা উচিত।
চুম্বন আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ। স্নেহ ভাজন/সন্তান/একান্ত আপন – সবার প্রতি ভালবাসা প্রকাশের/প্রেম জাগানোর পিছনে চুমার বিস্তর ভুমিকা আছে। তবে আজ আমরা বিবাহিত যুগলে চুম্বন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
আপনি যদি চুমা এক্সপার্টও হন তবুও আপনার মনে হতে পারে – আপনার চুমার কোয়ালিটি উন্নত করা দরকার, এবং চুমা আবেদনময় করার জন্য কিছু উপায় আছে। চুমার সাথে স্পর্শ অনেক বড় ভুমিকা পরিলক্ষিত হয়েছে।
আপনি যখন আপনার স্ত্রীর ঠোট চুঁষবেন তখন আপনার হাত দিয়ে আলতো করে তার চুলে বিলি কাটতে থাকুন অথবা মাথা ম্যাসেজ করার মত আঙ্গুল চুলের ভাজেঁ সঞ্চালন করতে থাকুন। এ সময় আপনি মাঝে মাঝে তার উরুদেশে আলতো হাত বুলাতে থাকতে পারেন এতে তার শরীরে অতিরিক্ত শিহরন জাগবে।
নারীর কাছে সবছে বিব্রতকর অবস্থা হলো চুম্বনে তীব্রতা। অনেক পুরুষ মনে করে ব্যঘ্রতায় নারী আনন্দ পায়। তাই তার চুম্বনের সময় দাঁত দিয়ে আঘাত করেন এবং নখ দিয়ে সঙ্গীর শরীরে খামচি কাটেন। ব্যঘ্রতা মাঝে মধ্যে অথবা কিছু নারীর হয়তো ভালো লাগতে পারে – তবে অধিকাংশ নারী এটি পছন্দ করেন না। মনে রাখা জরুরী; চুম্বনের মাধ্যমে আপনি আপনার ভালবাসার আবেগপুর্ন বহিঃপ্রকাশ করছেন।
অনেকে আবার মুখের লালা দিয়ে স্ত্রীর মুখমন্ডল স্যাঁস্যাতে করে ফেলেন – আশ্চার্য্য হবার কিছু নেই; এরকম পরিস্থিতি নারীকে অন্তরঙ্গতায় সম্পুর্ন নিরুৎসাহীত করে দেয়। লক্ষ্য রাখতে হবে কোন কারনই যেন আপনাদের আন্তরিক মুহুর্তে একে অন্যের থেকে অমনযোগী করে তোলে।
চুম্বনে গতিও একটি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। যদি আপনার সঙ্গী ধীর যাত্রায় বিশ্বাসী অথবা অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে চরম উত্তেজিত করতে সক্ষম – তাহলে হিসেব করে তার ধরনের সাথে আপনার গতির নিয়ন্ত্রন করুন। চুম্বন শুধু আপনার কিংবা আপনার জীবনসঙ্গীর টেকনিক নয় – দুই জনের ধৈত প্রচেষ্টা সুমিষ্ট ফল। দুইজনের সময়জ্ঞান যখন একই মোহনায় মিশতে সক্ষম হবে তখনি শুধু আনন্দের মহাকাশ ভ্রমন সম্ভব হবে।
আপনি পুরুষ কিংবা মহিলা যে লিঙ্গের-ই হউন – নরম মোলায়েম ঠোঁট সর্বদা বোনাস হিসেবে পরিগনিত।
নারীরা তাদের ঠোটের যত্নে যতটা সচেতন পুরুষ এ বিষয়টিতে তত একটা গুরত্ব দেননা। কেউই ফাঁটা, খসখসে, শুকনো ঠোঁটে চুম্বনে আগ্রহী হয়না – স্বাভাবিক একটা বিবেচনা করুন; যে খাবার দেখতে সুন্দর নয় আমরা কি তা খেতে অতটা আগ্রহী হই? আপনার যদি সর্দি লাগে কিংবা ঠোঁট ফাটা থাকে তাহলে চুম্বন কার্যটি পরবর্তী সময়ের জন্য তুলে রাখুন। ঠোটেঁর যত্ন নিন – সঙ্গীর আগ্রহ আপনা হতেই জন্মাবে।
যদি আপনি প্রাকৃতিক ভাবেই চুম্বন পারদর্শী হন কিংবা অভিজ্ঞতা সাপেক্ষে চুম্বনের ব্যবহার শিখে থাকেন; তবেই সম্পর্কের নীল কষ্টে গোধুলীর মিষ্টি রং ঢালতে সক্ষম হবেন। বিধাতা আমাদের ভালবাসায় অনাবিল মায়া জাগাবে – সে প্রত্যাশা রইলো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!