গত ২৯ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে উইন্ডোজ ১০ রিলিজ হয়। এবং এর পর থেকেই লাখো কোটি প্রযুক্তি প্রেমিরা উইন্ডোজ ১০ সবার আগে ডাউনলোড করে ব্যবহারের জন্য উঠে পড়ে লেগে যান।
কিন্তু অনেক কষ্টে করে উইন্ডোজ ১০ ডাউনলোড করলেন, তারপর দেখা গেলো সেটা আপনার পিসিতে
ইনস্টলই করতে পারছেন না কিংবা ইনস্টলের পর দেখা গেলো আপনার অধিকাংশ
প্রোগ্রাম এবং হার্ডওয়্যার সেখানে চলছে না তখন কি হবে? তখন আপনার সব পরিশ্রম বৃত্তা।এজন্য এই টিউনটি ভাল ভাবে পড়ুন,তাহলে আপনার এই সমস্যা গুলোর সমাধান পাবেন আশা করি।
উইন্ডোজ ১০ এর জন্য মিনিমাম হার্ডওয়্যার রিকোয়ারমেন্ট
একটি কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১০ চালনার জন্য হার্ডওয়্যার রিকোরমেন্ট তা দেখলে
আপনারা চমকে যাতে পারেন। কারন এখানেও কিছুটা শর্ত প্রযোজ্য। যাহোক চলুন
এক নজরে দেখে নেই উইন্ডোজ ১০ চালনার জন্য পিসির মিনিমাম হার্ডওয়্যার
রিকোয়ারমেন্ট।
উইন্ডোজ ১০ এর জন্য পিসির সর্বনিম্ম যোগ্যতা
- Processor: 1 Gigahertz (GHz) or Faster
- RAM: 1 Gigabyte (GB) (32-bit) or 2 GB (64-bit)
- Free Hard Disk Space: 16 GB
- Graphics Card: Microsoft DirectX 9 Graphics Device with WDDM Driver
- Resolution: 1024 x 768
- A Microsoft Account and Internet Access
উইন্ডোজ কম্প্যাটিবিলিটি সেন্টার
আপনার কম্পিউটার উইন্ডোজ ১০ চালনার জন্য উপযোগি কিনা এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কম্প্যাটিবিলিটি সেন্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচের চিত্রে দেখতে পাচ্ছেন এখানে শুধু মাত্র উইন্ডোজ ৮.১ আপগ্রেড এসিস্টেন্ট দেখানো হয়েছে। কিন্তু জেনে রাখা ভালো, যে সব কম্পিউটারে উইন্ডোজ ৮.১ চলে সে সব কম্পিউটারকে উইন্ডোজ ১০ এ আপগ্রেড করা যাবে। আপনি উইন্ডোজ ৮.১ আপগ্রেড এসিস্টেন্ট এর সাহায্যে উইন্ডোজ ১০ এ আপগ্রেড করতে পারবেন। নিচের চিত্রে ক্লিক করলে আপনি উইন্ডোজ কম্প্যাটিবিলিটি চেক এবং আপগ্রেড সেন্টারে চলে যাবেন।এখানে একটি বিষয় মনে রাখবেন আপনার কম্পিউটার যদি উইন্ডোজ ৮.১ আপগ্রেড এসিস্টেন্ট দিয়ে আপগ্রেড করার পরেও উইন্ডোজ ৮.১ আপডেট হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১০ চলবে না। আপগ্রেড প্রসেসিং এর সময় অবশ্যই কম্পিউটারের মাউস, কিবোর্ড এবং যাবতীয় এক্সটার্নাল এক্সেসরিস কম্পিউটারের সাথে যুক্ত রাখবেন। কারন কম্প্যাটিবিলিটি মোডে সব কিছু চেক করে দেখা হয় যাতে নতুন অপারেটিং সিস্টেম স্মুথলি চলতে পারে।
স্পেসিফিক সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার কম্প্যাটিবিলিটি
আপনার কম্পিউটার এর সাথে যদি প্রিন্টার, স্ক্যানার, গেইমিং কিবোর্ড, মডেম,
ইউএসবি ড্রাইভ কিংবা বিশেষ শ্রেণীর গুরুত্বপূর্ণ কোন ডিভাইস যুক্ত থাকে
তাহলে সেটা উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলবে কিনা সেটা যাচাই করে নেওয়াটা
জরুরী। তাছাড়া অনেকেই লেটেস্ট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করলেও মান্ধাতা
আমলের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। যেমন, অফিস ২০০৩, ফটোশপ ৭ কিংবা আমি
ব্যবহার করি কেমিস্ট্রি অফিস 3D (২০০২) এসব সফটওয়্যার উইন্ডোজ ১০ এ চলবে
কিনা আমরা নিশ্চিত না। অনেক কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় কিছু কিছু সফটওয়্যার না
চলার কারনে আমরা নতুন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারিনা। তো চলুন
স্পেসিফিক হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারগুলো চেক করার উপায় জেনে নেই।
সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার কম্প্যাটিবিলিটি চেকিং
- আপনি যদি উপরের চিত্রের নির্দেশনা মতো উইন্ডোজ কম্প্যাটিবিলিটি সেন্টারে এসে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয় সার্চ বক্স দেখতে পাচ্ছেন? এবার আপনি যে প্রোডাক্টটির কম্প্যাটিবিলিটি চেক করতে চান সেটা সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করুন। যেমন আমি ডেল এর একটি প্রিন্টার এর নাম লিখে সার্চ করেছি। ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন। এভাবে আপনি আপনার ব্যবহৃত প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট এর কম্প্যাটিবিলিটি চেক করতে পারবেন।
এই ওয়েব সাইট হতে অন্যরা যেসব প্রোডাক্ট এর কম্প্যাটিবিলিটি চেক করেছে
সেগুলোর কিছু অংশও আপনি সাইটের হোম পেইজ থেকে নিচের চিত্রের মতো দেখতে
পাবেন।
আপনার কম্পিউটার যদি উইন্ডোজ ১০ এর জন্য কম্প্যাটিবল হয় এবং উপরের
প্রত্যেকটি ধাপ অনুযায়ী আপনি যদি সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তাহলে উইন্ডোজ ১০ এ
আপনাকে স্বাগতম।
(সংগৃহীত)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!