বিবাহবহিভূত সম্পর্ক ইসলামে হারাম বা নিষিদ্ধ


ইসলাম নারী-পুরুষের কোনো ধরনের বিবাহবহিভূত সম্পর্ক অনুমোদন করে না। বিবাহবহিভূত সম্পর্ক ইসলামে হারাম বা নিষিদ্ধ। এ ধরনের সম্পর্ক ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যভিচার এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইসলামে নারী-পুরুষের বৈবাহিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করা হয়েছে। বৈবাহিক জীবনে পারস্পরিক ভালোবাসার সম্পর্ককেও ইসলামে উৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে সে উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম হিসেবে বিবেচিত। স্ত্রীর সন্তুষ্টি বিধানে রাসূল (সা.) তার উম্মতদের বিভিন্নভাবে তাগিদ দিয়েছেন।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনেও খেলা করতাম। আমার কয়েকজন সখী ছিল। তারা আমার সঙ্গে খেলা করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘরে প্রবেশ করতেন তখন তারা লুকিয়ে যেত। কিন্তু তিনি তাদের আমার কাছে পাঠিয়ে দিতেন এবং তারা আমার সঙ্গে খেলা করত (বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে)।

উল্লেখ্য, আয়েশা (রা.) তখনো ছোট ছিলেন। এ হাদিস থেকে জানা গেল, জায়েজ পন্থায় স্ত্রীর মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা উত্তম।

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহকে অবশ্যই ভয় করে চলবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে যে, তোমরা তাদের আল্লাহর নামে গ্রহণ করেছ এবং এভাবেই তাদের হালাল মনে করেই তোমরা তাদের উপভোগ করেছ। (মুসলিম)

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আরেক হাদিসে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে স্ত্রীর কাছে তোমাদের মধ্যে উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীর কাছে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। (তিরমিযি)

ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য হালাল কাজ হচ্ছে তালাক (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)। এ কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসলিম সমাজে তালাকের ব্যাপারটি যেন খেলার বস্তুতে পরিণত না হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার প্রেমময় সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটার ক্ষেত্রেই কেবল এ পন্থার আশ্রয় নেওয়া জায়েজ।
Share this article :
 
Helped By : WWW.KASPERWINDOW.TK | KasperWindowTemplate | Download This Template
Copyright © 2011. আমার কথা ঘর - All Rights Reserved
Template Created by Aehtasham Aumee Published by KasperWindow
Proudly powered by Blogger