
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনেও খেলা করতাম। আমার কয়েকজন সখী ছিল। তারা আমার সঙ্গে খেলা করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘরে প্রবেশ করতেন তখন তারা লুকিয়ে যেত। কিন্তু তিনি তাদের আমার কাছে পাঠিয়ে দিতেন এবং তারা আমার সঙ্গে খেলা করত (বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে)।
উল্লেখ্য, আয়েশা (রা.) তখনো ছোট ছিলেন। এ হাদিস থেকে জানা গেল, জায়েজ পন্থায় স্ত্রীর মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা উত্তম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজের ভাষণে বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহকে অবশ্যই ভয় করে চলবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে যে, তোমরা তাদের আল্লাহর নামে গ্রহণ করেছ এবং এভাবেই তাদের হালাল মনে করেই তোমরা তাদের উপভোগ করেছ। (মুসলিম)
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আরেক হাদিসে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে স্ত্রীর কাছে তোমাদের মধ্যে উত্তম। আর আমি আমার স্ত্রীর কাছে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। (তিরমিযি)
ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য হালাল কাজ হচ্ছে তালাক (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)। এ কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসলিম সমাজে তালাকের ব্যাপারটি যেন খেলার বস্তুতে পরিণত না হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার প্রেমময় সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটার ক্ষেত্রেই কেবল এ পন্থার আশ্রয় নেওয়া জায়েজ।