![]() |
Add caption |
সঙ্গী বা সঙ্গীনীর সঙ্গে ঝগড়া বা দ্বন্দ্ব থেকে রেহাই পাবার সর্বোত্তম পন্থা যৌন সম্পর্ক? তবে এটাকে একধরণের শিল্প হিসেবে ব্যবহার করেন শিম্পাঞ্জি বোনবোজ নামে এক প্রজাতি। তারা ঝগড়া বাড়ানোর চেয়ে টেনশন কমানো ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সঙ্গী বা সঙ্গীনীর সাথে যৌন সম্পর্কের যোগাযোগ স্থাপন করে।
বোনবোজরা কীভাবে ঝগড়া কমাতে যৌনতাকে ব্যবহার করে তা গবেষণা করেছেন জর্জিয়ার ইমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জান্না ক্লে। গবেষণার পর তিনি জানান, বোনবোজদের পর্যবেক্ষণ করার পর একটা বিষয় পরিষ্কার বোঝা যায় যে, যৌনতা তাদের মাঝে অনেক গুরুত্বপুর্ণ প্রভাব ফেলে বিশেষ করে তাদের সামাজিক টেনশন দুর করতে।
ঝগড়া বা দ্বন্দ্ব পরবর্তী যৌন সম্পর্ক নিয়ে গবেষকরা চারটি অনুমানের ভিত্তিতে গবেষণা চালান, মানসিক চাপ কমানো, প্রজননগত সুবিধা, খাদ্য দ্বন্দ্বের মধ্যস্থতা এবং সম্পর্ক মজবুত করা।
এই গবেষণার আরেকজন সহযোগী ফ্র্যান্স ডি ওয়াল। তিনি বলেন, এতে দেখা যায়, বোনবোজদের যৌন বিষয়ক অবিজ্ঞতা হচ্ছে তাদের পরস্পরের মধ্যে মানসিক চাপ কমানো সম্পর্কিত।
গবেষকরা ওয়াইরিড ডট কমের প্রতিবেদনে জানান, ‘এর কারণ হতে পারে এই যে, যৌন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমুহের ঘর্ষেণের কারণে রক্তের করটিসল নামক হরমোনের মাত্রা কমে যায় অথবা অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রেসিনের মতো হরমোনের মাত্রা বাড়ায় যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
যাইহোক, যদিও বোনবোজরা ঘনঘন এবং অভ্যাসগত ভাবেই বিশেষ করে মানসিক চাপ কামাতে যৌন সম্পর্ক করে তবুও অসংখ্য মানুষ ও প্রাণীর মধ্যেও ব্যাপক ভাবে পরিলক্ষিত হয় যে তাদের এ যৌন সম্পর্কও মানসিক চাপ কমানো ও অপ্রজনন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সুত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া