
তিনি মাফও করে দেন হয়তো! কিন্তু মনের তিক্ততা কি সহজে দূর হয়? অথচ আসল ব্যাপার তো সেটাই! তাঁর মনে যে অভিমানের সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করার কথাও তো ভাবতে হবে! মান-অভিমানে ক্ষমা না হয় আপনি চেয়ে নিলেন, কিন্তু ক্ষমা চাওয়াটাই শুধু ভালোবাসার প্রকাশ নয়।
বরং মান-অভিমানের তিক্ততা দূর করে সম্পর্কটা আবার মধুর করে তুলতে চাই বাড়তি কিছুর ছোঁয়া। আহামরি কিছু নয়, বরং আপনার সামান্য আন্তরিকতা আর ছেলেমানুষিতেই সম্পর্কটা হয়ে উঠতে পারে আগের চাইতেও মধুর। ভালোবাসায় একটুখানি ছেলেমানুষি,একটুখানি পাগলামি করাই যায়। বয়স যাই হোক,ভালোবাসা তো কখনো পুরনো হয় না।
চিঠি লিখুন :
এসএমএস আর ফেসবুকের যুগে কি কেউ চিঠি লেখে? আপনি লিখুন! আপনি তাঁকে কতটা ভালোবাসেন, তাঁর জন্য কতটা ভাবেন, তাঁকে কষ্ট দিয়ে আপনি নিজে কতটা কষ্টে আছেন এসব লিখে ফেলুন এক টুকরো কাগজে। তারপর চিঠিটা গুঁজে দিন তাঁর হাতে। চিঠিটা পড়ার পর তিনি দেবেন তাঁর শ্রেষ্ঠ হাসিটা!
চিঠি/কার্ড পোস্ট করুন :
তাঁর মন আরো ভালো করতে, তাঁকে আরো চমকে দিতে আপনার চিঠিটা পোস্ট করুন ডাকে বা কুরিয়ার করুন তাঁর ঠিকানায়। অথবা পাঠাতে পারেন আপনার অনুভূতি লিখে কোনো কার্ড। তিনি না খুশি হয়ে কোথায় যাবেন! আজকালকার যুগে ডাকে একটা চিঠি পাওয়া রীতিমত সারপ্রাইজ বৈকি।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিন :
তারুণ্যের সম্পর্কে ফেসবুকে খুব চমৎকার একটা স্ট্যাটাস দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করাটাও কিন্তু হতে পারে মান ভাঙানোর একটি চমৎকার কৌশল। মিষ্টি কিছু কথা বলে দিয়ে দিন না চমৎকার একটি স্ট্যাটাস। সাথে লিখে দিন প্রিয় গানের কয়েকটি লাইন। দেখবেন সে রাগ করে থাকতেই পারবে না।
চকলেট উপহার দিন :
তাঁর প্রিয় চকলেট তাঁকে উপহার দিন। চকলেটের মিষ্টতা আপনাদের সম্পর্কের তিক্ততাকে দূর করে দেবে। আর হ্যা, সাথে 'ভালোবাসি' লেখা একটা কার্ড দিতে ভুলবেন না যেন! বিশেষ করে প্রেমিকার মান ভাঙাতে প্রেমিকদের তরফ থেকে এই চকলেট থেরাপি সর্বদাই কাজ করে।
গান গেয়ে শোনান :
ব্যাপারটা একটু সিনেমাটিক হয়ে গেলেও তাঁর জন্য গান গেয়ে উঠুন। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি ছেলেমানুষী মনে হলেও কাজে কিন্তু দেবে! তিনিও হয়তো অবাক হবেন, কিন্তু তাঁর মন খারাপ দূর হয়ে যাবে। আর এটাই তো দরকার, তাই না? আপনার হেঁড়ে গলায় গান শুনে তিনি মন খারাপ ভুলে হেসেও ফেলতে পারেন।
শপিং করতে নিয়ে যান :
কেনাকাটা করিয়ে মান ভাঙানো কিন্তু দারুণ একটা আইডিয়া! সারপ্রাইজ গিফট তো আপনি দিয়েই থাকেন, এবার তাঁকে নিয়ে শপিংয়ে চলে যান। তাঁর পছন্দমতো জিনিস তাঁকে কিনে দিন। এই উপায় কাজ দেবেই! একসাথে দুজনে ঘুরতে ঘুরতে দেখবেন অভিমান কোথায় উবে গেছে!