
ঠিক কী কারণে মানুষের ওজন বাড়ে? আমরা
ভালো করেই জানি বেশি বেশি খাওয়াদাওয়া করলে, কিংবা আমাদের শরীর যথেষ্ট
কর্মক্ষম না রাখলে ওজন বেড়ে আমরা মোটা হয়ে যাই। অনেকে নানা রকম অসুখের
কারণেও মোটা হয়ে যান। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা বেছে বেছে খাওয়াদাওয়া করেন,
নিয়মিত ব্যায়াম করেন, কিন্তু তার পরও কোনো এক অদ্ভুত কারণে বাড়তেই থাকে
তাদের ওজন। কিন্তু কেন? আমাদের ওজন বাড়ার পেছনে দায়ী হতে পারে এমন সব কারণ,
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যার সাথে ওজনের কোনোই সম্পর্ক নেই। দেখে নিন
এমনই ১১ টি অজানা ও বিচিত্র কারণ, যেগুলো প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করছে আপনার ওজন!
একটি বিশেষ ধরণের ব্যাকটেরিয়া
আমাদের সবারই ছোটবেলায় ঠাণ্ডা-জ্বর বা
সর্দিকাশির মতো অসুখ হয়ে থাকে। কিন্তু এই ঠাণ্ডার ব্যাকটেরিয়ার মাঝে একটি
বিশেষ প্রকরণ আছে যার দ্বারা আক্রান্ত হলে বাচ্চাদের মাঝে ওজন বেড়ে মুটিয়ে
যাবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। অন্যদের তুলনায় এসব শিশুর ওজন হয়ে যেতে পারে
প্রায় ৫০ পাউন্ড (২৩ কেজি) বেশি।
এসি
এই গরমে এসির নিচে থাকা মানেই আরাম।
কিন্তু আমাদের শরীর এত আরামে থাকলেই বরং ক্ষতি বেশি। শরীর গরম বা ঠাণ্ডা
করার জন্য আমাদের শরীরকে কোনো কাজ করতে হয় না। ফলে এসির নিচে থাকলে ওজন
বেড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
কর্মরত মা থাকলে
বাচ্চার মা যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন, তবে
তার সন্তানের মোটা হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। যাদের মায়েরা বাসায় থাকে, তাদের
আবার ওজন নিয়ন্ত্রন থাকতে দেখা যায়।
কম ঘুম
কারণ যাই হোক, ঘুম কম হলে ওজন বাড়ার
ঝুঁকিও বেশি হবে। ডায়াবেটিসের পূর্বের একটি ধাপ শরীরে তৈরি হয় যখন একজন
মানুষের ঘুম কম হতে থাকে। ঘুম কম হল ক্ষুধা বেড়ে যেতে দেখা যায়। আর শরীর
ক্লান্ত থাকলে ব্যায়াম করতেও ইচ্ছে করে না ফলে ওজন বাড়তেই থাকে।
টনসিল অপসারণ
অপারেশন করে অনেকে টনসিল ফেলে দেন। এর ফলে কিছু জটিলতা কম হলেও মোটা হয় যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে দেখা যায়।
বয়স্ক মা
বয়স্ক মা
যেসব নারী একটু বেশি বয়সে মা হয়ে থাকেন
তাদের বাচ্চাদের মুটিয়ে যাবার প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষ করে ৩৫ বছরের পর
সন্তান জন্ম দিলে সে সন্তানের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সমস্যা হয়ে যায়।
লাইট জ্বেলে ঘুমানো
ঘুমের সময়ে আলো জ্বেলে রাখতে অভ্যস্ত
অনেকে। এই অভ্যাসের ফলেও কিন্তু শরীরে জমা হতে পারে মেদ। একেবারে অন্ধকার
যারা ঘুমায়, তাদের তুলনায় হালকা আলোয় ঘুমানো মানুষের ওজন বেশি হতে দেখা
যায়।
দূষণ
পরিবেশ দূষণ হয়ে উঠতে পারে আপনার ওজন
বৃদ্ধির কারণ। পরিবেশে মুক্ত হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক আমাদের
বিপাক প্রক্রিয়ার ওপরে নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে এন্ডোক্রাইন
হরমোনের নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত করে এমন সব রাসায়নিকের কারণে ওজন বেড়ে যেতে
পারে।
বংশগতি
জেনেটিক কারণেও ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। আমাদের জিনেই থাকতে পারে এমন উপাদান যার কারণে আমরা শত চেষ্টা করেও ওজন কমিয়ে আনতে পারি না।
গর্ভাবস্থায় মায়ের বেশি খাওয়া
গর্ভাবস্থায় মা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে
চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে সন্তানের ওজন বেশি হবার ঝুঁকি থাকে।
শুধু তাই নয়, নবজাতক যদি বেশি বড় হয়ে থাকে তাহলেও পরবর্তী জীবনে তার ওজন
মাত্রাতিরিক্ত বেশি থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ওষুধ
বিষণ্ণতা, ডায়াবেটিস, হাইপারটেশন এবং জন্মবিরতিকরনের কিছু ওষুধ খাবার ফলে ওজন বৃদ্ধি হবার ঝুঁকি থাকে।