
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই যৌন
স্বাস্থ্যের ব্যাপারে একেবারেই সচেতন নন। অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় সবার
সাথে আলোচনা কিংবা ডাক্তারের কাছে গেলেও যৌন স্বাস্থ্যের সমস্যায় তারা সহজে
কারো সাথে আলাপ করেন না। কিন্তু সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য দরকার সুখী ও
স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন। যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকলে দাম্পত্য জীবন হয় সুখী ও
সুন্দর। আর তাই যৌন স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া উচিত সবারই। যৌন স্বাস্থ্য ভালো
রাখার আছে কিছু বিশেষ উপায়। আসুন জেনে নেয়া যাক যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখার
৫টি উপায় সম্পর্কে।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
সুস্থ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। কিছু বিশেষ খাবার আছে যেগুলো যৌন
স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। তাই পালং শাক, ব্রকলি, লেটুস,
ফুলকপি, বাঁধাকপি, চিনি ছাড়া চা, রঙিন ফল, ডিম, বাদাম ও বিভিন্ন বীজ,
তৈলাক্ত মাছ ও ডার্ক চকলেট নিয়মিত খাবার তালিকায় রাখুন।
ব্যায়াম করা
ব্যায়াম করা
যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত
ব্যায়াম করা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট এক টানা হাঁটার চেষ্টা করুন।
এছাড়াও দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার ও অন্য যে কোনো ব্যায়াম যেগুলো
ক্যালোরি ক্ষয় করে সেগুলো সবই যৌন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম
করলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং লিবিডো বৃদ্ধি পায় যা যৌন
স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
পরিচ্ছন্নতা
পরিচ্ছন্নতা
সুস্থ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন
পরিচ্ছন্নতা। সঙ্গীর সাথে শারীরিক মিলনের পর পরিচ্ছন্নতা খুবই জরুরি। নাহলে
যৌনাঙ্গে নানান রকমের ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। তবে গোসল করার সময় অবশ্যই
যৌনাঙ্গে সাবান ব্যবহার করা উচিত না। সাবান এর বদলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার
করতে পারেন পরিচ্ছন্নতার জন্য। আজকাল বেশ ভালো কিছু
প্রচুর পানি খাওয়া
প্রচুর পানি খাওয়া
যৌন স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন
প্রচুর পানি পান। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি উপস্থিত না থাকলে নানান
রকমের সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। তার মধ্যে একটি হলো লিবিডো কমে যাওয়া। তাই
সুস্থ যৌন স্বাস্থ্যের জন্য দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন
ধূমপান ও মদ্যপান লিবিডো কমিয়ে দেয়। ফলে
যৌন স্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। নিকোটিন রক্ত জমাট বাধিয়ে ফেলে
এবং রক্তচলাচল কমিয়ে দেয়। ফলে শারীরিক মিলনের সময় শরীরে স্বাভাবিক ভাবে
রক্ত চলাচল হয় না এবং যৌন স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে।