জানুশিরাসন
পদ্ধতি : প্রথমে পা সামনে সোজা করে মেরুদন্ড সোজা রেখে মাটিতে বসুন। পা দুটো যেন সামনের দিকে ছড়িয়ে থাকে। এবার প্রথমে ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে ডান পায়ের পাতা বাম ঊরুর শেষ প্রান্তে এনে লাগিয়ে রাখুন। দেখতে যেন সমকোণের মতো লাগে (১নং ছবির মতো)। অর্থাৎ বাম পা সোজা রেখে ডান পা ভেঙে এনে রাখতে হবে নববই ডিগ্রি এঙ্গেলে। | |
এরপর দম স্বাভাবিক রেখে মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে বাম হাঁটুর ওপর কপাল ঠেকাতে চেষ্টা করুন (৪নং ছবির মতো)। হাত দুটো দিয়ে বাম পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। হাঁটু যেন না ভাঙে। যতদিন না সঠিক ভঙ্গিমায় আনতে পারছেন ততদিন যতটুকু পারবেন ততটুকু ঝুঁকবেন। (২নং ও ৩নং ছবির মতো) | |
জোর করে কপাল হাঁটুতে ঠেকাতে যাবেন না। এভাবে প্রথমে ডানে ও পরে একইভাবে বাম পায়ে করুন (ছবির মতো)। প্রত্যেক বারই সঠিক ভঙ্গিমায় গিয়ে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড অবস্থান করুন। ডানে বামে মিলে ১ প্রস্থ। এভাবে ৩ থেকে ৫ প্রস্থ করুন। | |
এ আসনে কপাল ও হাঁটু একত্রে মিশে থাকে বলে একে জানুশিরাসন বলে। জানু অর্থ হাঁটু, শির অর্থ মাথা। |
উপকারিতা
১.জানুশিরাসন অভ্যেসে অগ্ন্যাশয়ে চাপ পড়ায় অগ্ন্যাশয় সুস্থ ও সবল থাকে। এতে বহুমূত্র রোগ হতে পারে না। আর যারা এ রোগে ভুগছেন তারা এ আসনটি করলে বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।২.পেটে চর্বি জমতে পারে না।
বি.দ্র.:সামনে ঝোঁকা নিষেধ- এমন রোগ থাকলে এ আসন করবেন না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!