২৬। হলাসন

হলাসন

পদ্ধতি : প্রথমে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো শরীরের দুপাশে তালু উপুড় করে রাখুন (১নং ছবির মতো)। এবার (২নং ছবির মতো) দুপা জোড় করে মাটির ওপরে তুলুন। এরপর (৩নং ছবির

মতো) দুপা জোড় রেখে মাটি থেকে শরীরটা তুলে পা দুটো মাথার পেছনে রাখুন। এভাবে কিছু দিন চেষ্টা করার পর (৪নং ছবির মতো) পা দুটো জোড় অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে মাথার পেছনে নিয়ে দুপায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে মেঝে স্পর্শ করুন।


এ ভঙ্গিমায় ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড অবস্থান করুন। দম স্বাভাবিক থাকবে। আবার (১নং ছবির মতো) স্বাভাবিক অবস্থায় এসে ১০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় করুন। এভাবে ৩ থেকে ৫ বার করতে পারেন। আসনটি পুরোপুরি আয়ত্তে এলে ১ বার ১ মিনিট পর্যন্ত করা যায়।


উপকারিতা

১.এ আসনে পেটের মেদ কমে। কোমরে ও নিতম্বে মেদ জমতে পারে না।

২.আমাদের গলার কাছে থাইরয়েড ও থাইমাস গ্রন্থি রয়েছে। মোটা বা চিকন হওয়া কিছুটা নির্ভর করে ঐ দুটি গ্ল্যান্ড-এর স্বাস্থ্যের ওপর অর্থাৎ

থাইরয়েড গ্রন্থির অসুস্থতার জন্যে কম রস নিঃসরণ হলে শরীর অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় আর বেশি রস নিঃসরণ হলে স্নায়ু উত্তেজনা বৃদ্ধি, গলগন্ড, অত্যধিক শুকনা, চক্ষুদ্বয়ের অত্যধিক স্ফীতি, হৃৎপিন্ডের

গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরের ওজন কমতে থাকে। তাই এ আসন করলে থাইরয়েডে পর্যাপ্ত রক্ত চলাচল হয়ে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডকে সুস্থ রাখে। থাইরয়েড হরমোন প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে।

৩.টনসিলের সমস্যা থাকলে উপকার হয়।

৪.এ আসনের ফলে পরিপাক অঙ্গগুলোয় অতিরিক্ত চাপ পড়ায় তাদের ক্রিয়াকলাপকে গতিশীল করে।
৫.কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে।
৬.মেরুদন্ডে স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
৭.এ আসনটি নিয়মিত করলে ডায়াবেটিস, বাত, সায়াটিকা, স্ত্রীরোগ হতে পারে না। আর এসব রোগ থাকলেও তা নিরাময়ে উপকার পাওয়া যায়।
Share this article :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:-?

আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!

 
Helped By : WWW.KASPERWINDOW.TK | KasperWindowTemplate | Download This Template
Copyright © 2011. আমার কথা ঘর - All Rights Reserved
Template Created by Aehtasham Aumee Published by KasperWindow
Proudly powered by Blogger