শীর্ষাসন
পদ্ধতি : প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। এবার সামনের দিকে ঝুঁকে দুহাতের আঙুলগুলো একে অপরের মধ্যে ঢুকিয়ে জোড়াবদ্ধ করে নিয়ে কনুই থেকে মাটিতে রাখুন। মাথার তালু মাটিতে স্পর্শ করে রাখুন (১নং ছবির মতো)। এবার এ ভঙ্গিমায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড অবস্থান করুন। এভাবে ১ বার করার পর ১০ সেকেন্ড করে বিশ্রাম নিয়ে ২ থেকে ৩ বার করুন। | |
যারা পূর্ণ শীর্ষাসন করতে পারবেন না তারাও এভাবে শীর্ষাসনের কিছুটা ফল পাবেন। দম স্বাভাবিক থাকবে। এবার পূর্ণ শীর্ষাসন করতে হলে দুহাতের কনুই মাটিতে রাখুন। দুই কনুইয়ের মধ্যে ১ ফুট পরিমাণ ফাঁক থাকবে। দুহাতের আঙুল একে অপরের মধ্যে খাপবদ্ধ থাকবে। এবার শক্তভাবে খাপবদ্ধ রেখে দুই কনুইয়ের ওপর ভর দিয়ে দেয়ালে সাপোর্ট রেখে (৪নং ছবির ভঙ্গিমায়) ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড অবস্থান করুন। |
|
দম স্বাভাবিক থাকবে। এভাবে একবার
করে বিশ্রাম নিয়ে ২ থেকে ৩ বার করতে পারেন। যদি তা-ও সম্ভব না হয় তাহলে
একজনের সাহায্য নিয়ে দুপা মাটি থেকে জোড় করে ওপরে তুলে ধরে রাখতে পারেন।
আসনটিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে একসাথে ১ থেকে ৩ মিনিট করা যায়। তখন কোনো
সাপোর্টের প্রয়োজন হবে না। এরপর শবাসনে বিশ্রাম নিতে হবে। বি.দ্র.: যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগ অথবা চোখের কোনো কঠিন অসুখ আছে তারা শীর্ষাসন করবেন না। |
|
উপকারিতা১.শীর্ষাসনের সময় প্রচুর রক্ত মস্তিষ্কের দিকে ধাবিত হয়। মস্তিষ্ক হচ্ছে আমাদের মহা শক্তিশালী জৈব কম্পিউটার। এখানে রয়েছে বিশেষ গ্রন্থি, যা হরমোন নিঃসরণ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক।২.দৃষ্টি স্মৃতি শ্রবণ স্পর্শ অনুভূতির কেন্দ্রস্থল হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কে অবস্থিত এ স্নায়ু কেন্দ্রগুলোকে নিয়মিত শীর্ষাসনের মাধ্যমে সুস্থ রাখা যায়। ৩.নিয়মিত শীর্ষাসন করলে মাথাব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়। ৪.মুখমন্ডলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় বলে চোখ কান নাক দাঁতে সহজে কোনো রোগ হতে পারে না। ৫.থাইরয়েড গ্রন্থিতে রক্ত চলাচল প্রচুর পরিমাণে হয় বলে থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে দেহের সমস্ত গ্রন্থি ও স্নায়ু সুস্থ ও সক্রিয় থাকে। ৬.টনসিলের বিশেষ উপকার হয়। ৭.মস্তিষ্কে অবস্থিত মাস্টার গ্ল্যান্ড নামে পরিচিত পিটুইটারি গ্রন্থি এবং পিনিয়াল গ্রন্থি সুস্থ ও সক্রিয় রাখে। এর ফলে আমাদের মনের শক্তি, স্মৃতি শক্তি, ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধি পায়। ৮.মেয়েদের জরায়ু সরে গেলে নিয়মিত এ আসনটি করলে তা ঠিক জায়গায় ফিরে আসে। ৯.এছাড়া লিউকোরিয়া অর্শ একশিরা হাঁপানি মাথাধরা আলস্য ইত্যাদি দূর হয়। |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!