২৮। পদ্মাসন

পদ্মাসন


পদ্ধতি : প্রথমে দুপা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। এবার হাত দিয়ে ডান পা হাঁটুর কাছ থেকে ভাঁজ করে বাম পায়ের ঊরুর ওপর রাখুন। তারপর বাম পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে একই নিয়মে ডান ঊরুর ওপর রাখুন এবং দুই পায়ের গোড়ালি দুটো যেন নিচের পেট স্পর্শ করে (২নং ছবির মতো)।
হাত দুটো দুই হাঁটুর ওপর রাখুন। হাতের তালু ওপরের দিকে থাকবে এবং হাতের বুড়ো আঙুল ও তর্জনী (ছবির মতো) ধরে রাখুন। মেরুদন্ড সোজা রাখুন। শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। (২নং ছবির মতো) সঠিক অবস্থায় বসে ধীরে ধীরে নাক দিয়ে দম নিন (বুক ফুলিয়ে)। এরপর দম ৫/৭ সেকেন্ড ধরে ছাড়ুন। ছাড়ার সময় আপনার পেট ভেতরের দিকে বসে যাবে। অর্থাৎ দম নিন বুকে, ছাড়ুন সম্পূর্ণরূপে এবং দম নেয়ার চেয়ে ছাড়ার সময় একটু বেশি নিন। এভাবে ১ থেকে ৫ মিনিট পর্যন্ত পদ্মাসনে বসে প্রাণায়াম করতে পারেন। প্রয়োজনে পা অদল-বদল করে নিতে পারেন। যত দিন সহজে করতে অভ্যস্ত না হন ততদিন প্রথমে সহজ পদ্মাসনে অর্থাৎ এক পায়ে করে অভ্যাস করুন (১নং ছবির মতো)। মনে রাখবেন- অভ্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো আসন জোর করে করবেন না। নিয়মিত করলে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে এবং সঠিকভাবে করতে পারবেন।

উপকারিতা

১.মনোসংযোগ বৃদ্ধি পায়, মন স্থির হয়।
২.পায়ের ব্যথা, হাঁটুতে বাত-ব্যথা হতে পারে না। পায়ের গ্রন্থিগুলোকে সুস্থ-সবল রাখে।
৩.পদ্মাসনে বসে প্রাণায়াম করলে ফুসফুস ভালো থাকে। ছোট বেলা থেকেই অভ্যেস করলে হাঁপানি হতে পারে না।
৪.মুখের ত্বক সুন্দর থাকে।
৫.এ আসন করার সময় মেরুদন্ড সোজা রাখতে হয় বলে ক্রমাগত অভ্যেসের ফলে যাদের মেরুদন্ড একটু বাঁকা তাদের জন্যে খুবই উপকারি। এতে মেরুদন্ড সোজা থাকে এবং মেরুদন্ড থেকে যে সব স্নায়ু শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে সেগুলো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

Share this article :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:-?

আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!

 
Helped By : WWW.KASPERWINDOW.TK | KasperWindowTemplate | Download This Template
Copyright © 2011. আমার কথা ঘর - All Rights Reserved
Template Created by Aehtasham Aumee Published by KasperWindow
Proudly powered by Blogger