স্থিরায়ন বা গোমুখাসন
পদ্ধতি : প্রথমে মেরুদন্ড সোজা করে দুপা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। এবার বাম পায়ের হাঁটু ভেঙে ডান পায়ের নিচ দিয়ে নিয়ে এসে ডান নিতম্বের কাছে নিয়ে রাখুন। বাম পায়ের গোড়ালি ডান নিতম্বের সাথে লেগে থাকবে। তবে যদি না লাগাতে পারেন জোর করে লাগাতে যাবেন না। আস্তে আস্তে অভ্যেস হলে লেগে যাবে। | |
এবার ডান পা হাঁটু ভেঙে বাম ঊরুর ওপর দিয়ে এনে এমনভাবে রাখুন যাতে বাম নিতম্বের সাথে ডান পায়ের গোড়ালি স্পর্শ করে। পায়ের পাতার পিঠ মাটিতে বিছানো থাকবে (১নং ছবি দেখুন)। এবার ডান হাত ডান কাঁধের ওপর নিয়ে এসে যতদূর পারেন পিঠের ওপর রাখুন। হাতের পাতা উপুড় অবস্থায় পিঠের ওপর থাকবে। এবার বাম হাত কোমরের কাছ থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে এসে পিঠের ওপর রাখা ডান হাতটি ধরতে চেষ্টা করুন (২নং ছবির মতো)। ডান হাত দিয়ে বাম হাত আটকে ধরুন। |
উপকারিতা
১.এ আসনে মানসিক ও স্নায়বিক উত্তেজনা দূর হয়।২.নিয়মিত এ আসনটি অভ্যেস করলে হাঁটুতে বাত ব্যথা ও বাতজনিত রোগ হতে পারে না।
৩.হাত ও কাঁধের সন্ধিস্থলের জন্যে বিশেষ উপকারী।
৪.এ আসন নিয়মিত অনুশীলন করলে কোনো স্ত্রীরোগ হতে পারে না এবং যৌন সংযম বজায় রাখা সহজ হয়।
৫.যাদের ফ্রোজেন শোলডার (frozen shoulder) রোগ রয়েছে অর্থাৎ হাত ওপরে তুলতে পারেন না তাদের জন্যে এ আসন বিশেষ উপকারী।
৬.নিয়মিত এ আসন করলে অর্শ, বাত, সায়াটিকা, মূত্রদাহ হতে পারে না।
৭.যারা অনেকক্ষণ কাজ করতে করতে কাঁধের কাছে ব্যথা অনুভব করেন এবং চিনচিন ব্যথা করে- মনে হয় একটি শলাকা বা কোনো সুঁই ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে- তারা নিয়মিত এ আসন করলে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
৮.যাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না তারা রাতে খাবারের পরে বজ্রাসন করে ঘুমোনোর আগে এ আসন নিয়মিত করলে অনিদ্রা দূর হয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!