ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি কাঁদে, সে কথা হয়তো সবাই জানেন। কিন্তু কেন কাঁদে? এর কারণটাই বা কী? এবার এই নিয়ে নতুন গবেষণা করেছেন এক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী। তার অভিমত, মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ধরে কাঁদে। এর পেছনে লিঙ্গভেদে হরমোনের প্রভাব যেমন রয়েছে, তেমনই সামাজিক কারণও কম দায়ী নয়।
নেদারল্যান্ডসের টিলবার্গ ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির অধ্যাপক অ্যাড ভিঙ্গারহোটস নারী-পুরুষের কান্না নিয়ে লিখেছেন, ‘হোয়াই ওনলি হিউম্যানস উইপ : আর্নযাভেলিং দ্য মিস্ট্রি অব টিয়ারস’। তিনি ৩৭টি দেশের পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারভিত্তিক গবেষণার পর বইটি লিখেছেন। তিনি জানান, মেয়েরা বছরে কম করে হলেও ৩০ বার কাঁদে। সেটা ৬৪ বার পর্যন্ত গড়াতে পারে। আর পুরুষের ক্ষেত্রে সেটা বড়জোড় ছয় থেকে ১৭ বার।
তার বইতে বলা হয়, গবেষণার অন্তর্ভুক্ত পুরুষদের ৬৬ শতাংশ পাঁচ মিনিটের কম সময় ধরে কেঁদেছে। ২৪ শতাংশ পুরুষের ক্ষেত্রে সেটা ছয় থেকে ১৫ মিনিট। অন্যদিকে পাঁচ মিনিটের চেয়ে কম সময় ধরে কেঁদেছে এমন নারী ৪৩ শতাংশ। ছয় থেকে ১৫ মিনিট ধরে কেঁদেছে ৩৮ শতাংশ নারী। এ ছাড়া ১৬ থেকে ৩০ মিনিট ধরে কেঁদেছে এমন নারীর হার ১১ শতাংশ এবং পুরুষ মাত্র পাঁচ শতাংশ।
লিঙ্গভেদে কান্নার কমবেশির জন্য পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে প্রোল্যাকটিন হরমোন নিঃসরণের ভূমিকার কথা আরো আগেই বিজ্ঞানীরা বলেছেন। আবেগের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রোল্যাকটিন নিঃসরণের পরিমাণ মেয়েদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অশ্রু ধারণকারী নালি তুলনামূলক বড় হওয়ায় ছেলেদের অশ্রু ওই নালি ভর্তি হওয়ার পর উপচে বাইরে আসতে সময় বেশি লাগে।
সেটাও একটা কারণ বটে। সামাজিক কারণও বের করেছেন অধ্যাপক ভিঙ্গারহোটস। তার মতে, মেয়েরা অশ্রু উদ্রেককারী অনুষ্ঠান বেশি দেখে এবং এ ধরনের বইও বেশি পড়ে। গবেষকের পরামর্শ, যে কারণেই মেয়েরা বেশি কাঁদুক না কেন, তাদের সেই কান্না প্রায়ই এর সঙ্গীর বিরক্তির কারণ হয় এবং সে ক্ষেত্রে ছেলেদের মধ্যে কান্নারত মেয়েটিকে উপেক্ষা করার প্রবণতা দেখা যায়। -ডেইলি মেইল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!