অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসন
এভাবে একবার ডান পা ওপরে ডান হাত পেছনে রেখে আর একবার বাম পা ওপরে বাম হাত পেছনে রেখে চেষ্টা করুন। ডানে ও বামে মিলে এক প্রস্থ হবে। এভাবে ৩ থেকে ৫ প্রস্থ করতে পারেন। একই নিয়মে প্রথমে ডান পায়ে পরে বাম পায়ে অবশ্যই করতে হবে। যখন অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন এক এক পায়ে এক পাশে সঠিক ভঙ্গিমায় ১ মিনিট করে অবস্থান করতে পারেন। ২ পায়ে ২ মিনিট।
তবে প্রথম অবস্থায় হাত-পা জোর করে সঠিক ভঙ্গিমায় আনতে যাবেন না। যতটুকু সহজভাবে পারবেন করুন। নিয়মিত চর্চায় শরীর নমনীয় হলে সঠিক ভঙ্গিমায় পারবেন। সঠিক ভঙ্গিমায় না হলেও ফল পাবেন।
বি.দ্র.: যে পা ওপরে থাকবে সে হাত পেছনে থাকবে।
উপকারিতা
১.এ আসনে মেরুদন্ডের মধ্যভাগের কশেরুকাগুলোর ওপর বিশেষ চাপ পড়ে বলে বিশেষ উপকার হয়। মেরুদন্ডের মধ্যভাগকে নমনীয়, মধ্যভাগের স্নায়ুকে কর্মতৎপর করে তোলার জন্যে মৎস্যেন্দ্রাসন অবশ্যই করা প্রয়োজন।২.অল্প বয়স থেকে এ আসনটি অভ্যেস করলে মেরুদন্ডের হাড়ের সমস্যা হতে পারে না।
৩.যকৃৎ, প্লীহা, পাকস্থলী ও হজমের নাড়ি, বৃক্ক, এড্রিনাল গ্ল্যান্ড ও গোনাড গ্ল্যান্ড প্রভৃতিতে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে এদের সুস্থ ও সুপরিচালিত করে।
৪.যাদের কাঁধ উঁচু-নিচু তাদের আসনটি অবশ্যই করা উচিত।
৫.একমাত্র এ আসনের ফলে মেরুদন্ডে মোচড় পড়ে। যারা খেলাধূলা বা ব্যায়াম করেন না তাদের জন্যে এ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!