প্রত্যেকের মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার মজবুত ভিত রচিত হয় তার ছোটবেলায়। সে যখন থেকে নিজের ইচ্ছায় হাত-পা নাড়তে শেখে, প্রয়োজনবোধে চলতে শেখে, অভাব মেটাতে পূরণের তাগিদ বোঝে তখনই তাকে দেয়া চাই উপযুক্ত শিক্ষা। দেহের সক্ষমতা আসলে হাত-পা নাড়বে, সুবিধার জন্য এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাবে, শীত-গরম আর খুধা নিবারণে অস্থির হবে তখন থেকেই আচরণে আসতে হবে শৈল্পিক শিক্ষা। আর এই মহান দায়িত্ব পালনে বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়, দরকার বাবা-মায়ের পর্যাপ্ত সচেতনতা। আসুন জেনে নেয়া যাক, আপনার সন্তানকে পূর্ন মানবতাবোধে জাগ্রত করার শিক্ষার হাতেখড়িটা কেমন হতে পারে…
- বাচ্চারা যত্ন না বোঝায় নিজের শখের জিনিসটি নষ্ট করবে এটা স্বাভাবিক, তাই বলে তাকে বকাঝকা করা ঠিক নয়। বোঝার বয়স না হলেও তাকে জিনিসের প্রতি যত্নশীল হতে শেখাতে হবে। খেলা শেষে তাকে দিয়ে খেলনাগুলো গোছানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজের জুতার ফিতা বাঁধাসহ ব্রাশ করার অভ্যাস গড়তে পারেন। প্রথমদিকে সম্ভব না হলেও আস্তে আস্তে তার মধ্যে দায়িত্ববোধ জাগ্রত হবে। এভাবে সে নিজের জিনিসের প্রতি যত্নশীল হবে।
- সমবয়সী কেউ পাশে থাকলে নিজের খাবার ভাগ করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। ভিক্ষুককে বা কোথাও দান করার সময় তার হাত দিয়ে করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দেখবেন বাচ্চাটি উদার মানসিকতার হতে শুরু করেছে।
- তাচ্ছিল্য নয়, আপনার শিশুর মতামতকে গুরুত্ব দিন। এতে তার আত্মবিশ্বাস ও শ্রদ্ধা বাড়বে। সে নিজেকে সম্মানিত ভাববে, অপরকেও যথার্থ সম্মান দিতে শিখবে। বন্ধুদের সঙ্গে সদ্ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে।
- তার সামনে বই নিয়ে আলোচনা করুন। মজার মজার বই উপহার দিন। বইয়ের গল্পগুলো মজা করে পড়ে তাকে আনন্দ দিন। বার বার আপনার মুখে গল্প শুনে সে নিজেই পড়ার আগ্রহ দেখাবে। এভাবে তার পড়ার অভ্যাস সৃষ্টি হবে।
- আপনার সন্তানকে প্রকৃতির রূপ রঙের সঙ্গে পরিচয় ঘটান। তাকে নানা প্রাণী সম্পর্কে জ্ঞান দিন। তার মধ্যে প্রকৃতি প্রেম জাগিয়ে তোলার সঙ্গে দৌড়দৌড়ি করতে দিন। তাতে শারীরিক ব্যায়াম হবে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী হবে।
- আপনার শিশুর স্কুলের প্রথম বছরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে স্কুলের ব্যাগ নিজে গুছিয়ে নেয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। ছোটবেলা থেকেই বই খাতা গোছানোর মধ্য দিয়ে মানসিকভাবে গোছানো মনের অধিকারী হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!