অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও চরম সত্য, বর্তমানে দেশে বিরাজ করছে উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি। দিনের পর দিন চলছে অবরোধ আর হরতাল। সেই সঙ্গে থাকছে পিকেটারদের গাড়ি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ। চলন্ত গাড়িতে কখনো ছুঁড়ে দেয়া হচ্ছে বিস্ফোরক ককটেল, কখনো পেট্রোল বোমা। হঠাৎ করেই বিকট শব্দে চারদিক ছেয়ে যাচ্ছে ধোঁয়ায়। আগুনে দগ্ধ হচ্ছে নিরীহ যাত্রীদের শরীর। তারপরও কাজের তাগিদে ছুটে যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে।
চলার পথে এধরনের বিপদ কারোরই কাম্য নয়। তারপরও যদি কেউ এ পরিস্থিতিতে পড়েই যান, তাহলে দ্রুত নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে।
চলন্ত বাসের ঠিক যে অংশে কোনো বিস্ফোরণ ঘটে, তা সেখানে থাকা যাত্রীকেই বেশি আঘাত করে। একটু দূরে অবস্থান করা যাত্রীকে আঘাত করে ধীর গতিতে। কিন্তু হঠাৎ করে বোমা বিস্ফোরণের ধোঁয়া দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বিস্ফোরণের ধোঁয়া মানবদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন- পেট, ফুসফুস ও কানের ভেতর প্রবেশ করে দুর্বল করে ফেলে। ধোঁয়া মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবেশে বাধা দিয়ে অজ্ঞানও করে দেয়। আগুনের আঁচে চামড়া পুড়ে যায়। কখনো অঙ্গহানি করে রক্তপাত ঘটায়। অপ্রত্যাশিত এধরনের বিপদ মোকাবেলায় জেনে রাখতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়-
১. দ্রুত বাস থেকে নেমে যেতে হবে।
২. ধোঁয়ামুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে হবে। ধোঁয়ার কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
৩. অঙ্গহানি হলে তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. বাসে চলাচলের সময় পরনে সুতি ও পাতলা কাপড় রাখার চেষ্টা করতে হবে। আগুনে সিনথেটিকের চেয়ে সুতি কাপড় অনেক বেশি সহনশীল হয়। সুতি কাপড়ে যদি আগুন লাগেও তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা যায়।
৫. পায়ের জুতাটি এমন হওয়া উচিৎ যাতে নিজেকে রক্ষা করার প্রয়োজনে দৌড়ানো যায়।
৬. সমস্যা গুরুতর হলে আশেপাশের কারো সাহায্য নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
:-?
আপনার একটি মতামত বা মন্তব্য আমাদের মত লেখকদেরকে ভালো কিছু লিখার অনুপ্রেরোনা যোগাই।তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত বা মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।তবে এমন কোন মতামত বা মন্তব্য করবেন না যাতে আমাদের মত লেখকদের মনে আঘাত করে !!